জাতীয়

‘বিদ্যুত্‍ সঙ্কট নেই, অহেতুক আতঙ্ক তৈরি করা হয়েছে,’ দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

‘বিদ্যুত্‍ সঙ্কট নেই, অহেতুক আতঙ্ক তৈরি করা হয়েছে,’ দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর - West Bengal News 24

কয়লা (coal) ফুরিয়ে আসা নিয়ে আতঙ্কের কোনও কারণ নেই, দিল্লিতে কোনও বিদ্যুত্‍ সংকটও নেই। দিনভর আশঙ্কা ও জল্পনার পরে রবিবার বিকেলে এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় বিদ্যুত্‍মন্ত্রী আর কে সিং। যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই কথায় আশ্বস্ত হওয়ার কোনও কারণ নেই বলেই মনে করছেন অনেকে। দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া এই প্রসঙ্গে সরকারকে ‘অন্ধ’ বলে উল্লেখ করেছেন, তারা বিপর্যয়ের সময়ে হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন।

তিনি কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘অক্সিজেনের বিপুল ঘাটতির সময়েও ওরা বলে গেছিল, কোনও অভাব নেই অক্সিজেনের। এখনও ঠিক তাই। বিপদকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না।’ গতকালই কয়লার অভাবে বিদ্যুত্‍ পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় অন্ধকারে ডুবেছিল পাঞ্জাব। পাঞ্জাবের একাধিক এলাকায় বিদ্যুত্‍ উত্‍পাদন কেন্দ্রে কয়লা ফুরিয়ে আসে, যার জেরে বাধ্য হয়ে বিদ্যুত্‍ সংযোগ বন্ধ করতে হয়েছিস সেখানে।

আরও পড়ুন : ক্যামেরার সামনে প্রেমিককে পিটিয়ে খুন! অভিযুক্ত প্রেমিকার শ্বশুর বাড়ির লোক

এই ঘটনাতেও কেন্দ্রকেই দুষেছে পাঞ্জাব সরকার। শুধু পাঞ্জাব নয়, দেশের একাধিক রাজ্যেই কয়লার জন্য হাহাকার দেখা দিয়েছে। দ্রুত কমে এসেছে এই খনিজের জোগান। দিল্লি তার মধ্যে অন্যতম। এছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে শনিবার কেন্দ্রের কাছে কয়লা চেয়ে চিঠি লেখা হয়েছে। যদিও পশ্চিমবঙ্গে কয়লা এখনও পর্যাপ্ত রয়েছে, জানিয়েছেন নবান্নের আধিকারিক।

এর পরেই আজ বিদ্যুত্‍ বন্টন সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও আধিকারিকরা। তার পরেই সংবাদমাধ্যমকে মন্ত্রী আরকে সিং জানান, আগামী তিন-চার দিনের কয়লা মজুত রয়েছে দিল্লিতে। প্রতিদিন স্টক বাড়ানো হচ্ছে নিয়মমতোই। খনি ও কয়লা মন্ত্রকের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। জানা গেছে, গোটা দেশে যে পরিমাণ বিদ্যুত্‍ প্রয়োজন, সেই পরিমাণ বিদ্যুত্‍ উত্‍পাদনে প্রয়োজনীয় কয়লার জোগান নেই দেশে। পরিসংখ্যান বলছে, ১০৪টি থার্মাল প্লান্টের মোট বিদ্যুত্‍ উত্‍পাদন ক্ষমতা ১২৬.৮ গিগা ওয়াট।

কিন্তু একাধিক প্লান্টে কয়লার জোগান কমে এসেছে। সম্প্রতি দিল্লির বিদ্যুত্‍মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, কয়েক দিনের মধ্যেই ব্যাপক বিদ্যুত্‍ সঙ্কটের মুখে পড়তে পারে রাজ্য। তবে এ কথা উড়িয়ে দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন প্রয়োজনীয় বিদ্যুত্‍ সরবরাহ করা হবে দিল্লিকে। তিনি আরও জানান, সাধারণত অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শীত পড়তে শুরু করলে বিদ্যুতের চাহিদাও কমতে থাকে। ফলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে। অহেতুক আতঙ্কের কোনও কারণ নেই।

সূত্র: দ্য ওয়াল

আরও পড়ুন ::

Back to top button