‘বাংলাতেও দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর হয়েছে, জানেন?’, ফেসবুকে ভিডিয়ো দিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ-শুভেন্দু
‘তবে কি পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) এবার বাংলাদেশের (Bangladesh) দিকেই এগোচ্ছে’, দুর্গাপুজোয় বাংলাদেশে হামলার ইস্যুতে রাজ্যের প্রসঙ্গেও চোখে আঙুল দিয়ে দেখালেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। ‘রাজ্যের মুখ্যসচিব , স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজিপিকে সামনে আসতে হবে’ বলে (Mamata Banerjee Govt) মমতার সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari)।
WB following Bangladesh’s cue? Police posted outside a Durga Puja Mandap at Kolaghat; Purba Medinipur. Administration’s scared of vandalism.
What’s the opinion of pseudo/situational seculars & “Buddhi-jivis” about this situation in one & only remaining Homeland of Bengali Hindus? pic.twitter.com/mrK6wHK2RK— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) October 16, 2021
দিলীপ ঘোষ বিস্ফোরক প্রশ্ন তুলে বলেছেন, ‘যারা বাংলাদেশের দুর্গাপুজোর উপর দুষ্কৃতী হামলা নিয়ে খুব চিন্তিত,তাঁরা কি জানেন যে খোদ পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ডের একটি পুজোর দুর্গা প্রতিমা কিছু দুষ্কৃতী এসে ভেঙে দিয়েছে।ঘটনা ধামাচাপা দিতে রাজ্যের পুলিশ ও তার উচ্চ আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তড়িঘড়ি প্রতিমা বিসর্জনের ব্যবস্থা করে। তবে কি পশ্চিমবঙ্গ এবার বাংলাদেশের দিকেই এগোচ্ছে’, বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
দিলীপ ঘোষকে সমর্থন করেছেন শুভেন্দু অধিকারীও। বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী টুইটে লিখেছেন, ‘গতকাল মা দুর্গার প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় করিমপুর, নদিয়া, কুলটি, পশ্চিম বর্ধমান সহ একাধিক জায়গায় কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ জানতে চান কোন কারণের জেরে ঘটনা এই দিকে মোড় নিয়েছে। রাজ্যের মুখ্যসচিব , স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজিপিকে সামনে আসতে হবে এবং পাবলিক ডোমেনে তথ্য দিতে হবে।’
আরও পড়ুন : বিজয়ার শুভেচ্ছার সঙ্গে তৃণমূল জনপ্রতিনিধিদের সংযত থাকার বিশেষ বার্তা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতার!
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে এই ঘটনার সূত্রপাত কুমিল্লার একটি পুজো প্যাণ্ডালকে কেন্দ্র করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কুমিল্লার ওই পুজো কমিটির বিরুদ্ধে কোরানের অবমাননা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তারপরই ওই পুজো মণ্ডপে একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশের পুলিশ। স্থানীয় প্রতিবেদগুলিতে বলা হয়েছে বাংলাদেশের দূর্গাপুজো প্যাণ্ডালে হামলার ঘটনায় কংপক্ষে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।
কুমিল্লার হিংসার ঘটনার পরই চাঁদপুরের হাজিগঞ্জ চট্টগ্রাম ও বাংশখালি ও কক্সবাজারের পেকুয়া মন্দির এলাকাতে ভাঙচুর ও তাণ্ডবের ঘটনা ঘটে। তারপরেও থামেনি হিংসা। তাণ্ডবলীলা চলে বাংলাদেশের ইসকনের মন্দিরে।
শনিবার নোয়াখালির চৌমুহনীতে ইসকন মন্দিরে প্রায় ৫০০ জন দুষ্কৃতী হামলা চালিয়েছে। এরপর মন্দির সংলগ্ন পুকুরের কাছ থেকে প্রান্ত চন্দ্র নমোদাস নামের এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। এই হিংসার ঘটনায় জখম হয়েছেন ৩০ জন। পুলিশ সূত্রে খবর, হামলার জেরে ইতিমধ্যেই মৃতের বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬।
সুত্র : এশিয়া নেট