জীবন যাত্রা

যে ৭ কারণে ভেঙে যায় দাম্পত্য সম্পর্ক

যে ৭ কারণে ভেঙে যায় দাম্পত্য সম্পর্ক

এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বিবাহিত দম্পত্তিদের শতকরা ৪২ শতাংশের মধ্যে বিচ্ছেদ হয় এবং এদের মধ্যে ৩৪ শতাংশের মধ্যে বিচ্ছেদ হয় বিয়ের ২০ বছরের মধ্যে। যদিও বিচ্ছেদ হওয়া দম্পত্তিদের ৮৭ শতাংশ বলেছেন তাদের মধ্যকার সম্পর্ক খুব ভালো ছিল এবং তাদের অর্ধেক দম্পতি খুব কম কিংবা কখনোই ঝগড়া করেননি।

তবে সম্পর্ক বিষয়ক ব্রিটিশ কাউন্সিলর এবং সেক্স থেরাপিস্ট পিটার সেডিংটন সম্পর্ক ভাঙার জন্য নয়টি কারণ উল্লেখ করেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেন্ডেন্টে প্রকাশিত ওই কারণগুলো দেখে নেওয়া যাক।

টাকার সমস্যা
দাম্পত্য সম্পর্ক ভাঙার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে টাকা। যেমন, দম্পত্তিদের মধ্যে কেউ যদি টাকা খরচ করতে ভালোবাসেন এবং কেউ যদি চেপে চলতে পছন্দ করেন তবে সেই সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সম্পর্ক
দম্পত্তিদের মাঝে কোনো একজনের যদি সম্পর্ক থাকে তবে সেই সম্পর্ক থেকে বিশ্বাস উঠে যেতে পারে এবং সেই সম্পর্কের মাঝে বিশ্বাস ফিরিয়ে আনা কষ্টকর হয় এবং সেটা সম্পর্ক ভাঙার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

পূর্বের পার্টনার সম্পর্কে হস্তক্ষেপ
সম্পর্কের মাঝে কেউ একজন যদি অপরজনের পূর্বের পার্টনার সম্পর্কে হস্তক্ষেপ করেন তবে সেই সম্পর্ক ভেঙে যেতে পারে।

যৌনতার প্রতি আগ্রহের ভিন্নতা
অনেক পুরুষই নারীর চাইতে বেশি যৌন মিলন করতে চান এবং যৌন মিলনের চাহিদার ভিন্নতার কারণে ভেঙে যেতে পারে সম্পর্ক।

পূর্বের সম্পর্কের সন্তান
নিজের সন্তান এবং পার্টনারের আগের ঘরের সন্তানের প্রতি টানের মধ্যেও ভিন্নতা রয়েছে। দম্পতিদের মধ্যে কারও যদি আগের সন্তান থেকে থাকে তবে সম্পর্কের মধ্যে জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে।

বেড়ে ওঠার পরিবেশ
কেউ যদি এমন পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন যেখানে তর্কটা খুব সাধারণ বিষয় এবং অন্যজন যদি এমন পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন যে পরিবারের কেউ তর্ক পছন্দ করেন না এবং তিনি এর সঙ্গে খুব একটা পরিচিতও নন তবে সেটা জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। সমস্যার সমাধান করার জন্য আপনার কাছে বিভিন্ন পথ থাকতে পারে তবে এ সমস্যাগুলো কখনোই সমাধান হবে না।

যোগাযোগে ভিন্নতা
সম্পর্কটা যদি এমন হয় যে, কেউ একজন তার ভিতরকার সকল কিছুই শেয়ার করছেন কিন্তু অন্যজন সবকিছু নিজের মধ্যে চেপে রাখছেন তবে তা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। বিষয়টা যদি এমন হয় যে-কেউ একজন কিছুই শেয়ার করছেন না তবে তখন তা অন্যজনের কাছে ভিন্ন অর্থ বহন করবে। বিষয়টি নিয়ে তিনি এমন ভাববেন যে, ও হয়তো আমাকে ভালোবাসে না কিংবা সে আমার প্রতি আগ্রহী নয়।

আরও পড়ুন ::

Back to top button