“ওমিক্রন” কতটা ভয়ঙ্কর? হু জানাল ‘এই’ পাঁচ তথ্য জেনে নিন!
দক্ষিণ আফ্রিকাতে সদ্য আবিষ্কার হওয়া সার্স-কোভ-২ (করোনাভাইরাসের)-এর একটি ভ্যারিয়েন্ট বা প্রজাতি ‘ওমিক্রন’।করোনাভাইরাসের এই নতুন রূপটির সংকেত পাওয়ার পর থেকেই বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। মাইক্রোবায়োলজির নমেনক্লেচারে যে এমন নাম দিতে হতে পারে, তা ভাবা যায়নি। কিন্তু কতটা ক্ষতিকারক করোনার এই নয়া চরিত্র? কীভাবেই বা বুঝবেন ওমিক্রন সংক্রমণ ঘটেছে আপনার শরীরে।
এর প্রধান উপসর্গই বা কী? এইসব প্রশ্ন ক্রমশ বাড়াচ্ছে উত্কণ্ঠা। বিশেষজ্ঞদের মতে Delta Varient-এর থেকেও ভয়ঙ্কর Omicron variant। আরও বেশি সংক্রামক এবং আরও দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়তে চলেছে করোনার এই নয়া প্রজাতি। এমন আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আফ্রিকায় প্রথম চিহ্নিত হয়েছে ভাইরাসের এই নতুন রূপ। তার পর হংকং এবং ইজরায়েলে আফ্রিকা ফেরত পর্যটকদের শরীরে ওমিক্রনের উপস্থিতি মিলেছে। এই রূপ উদ্বেগের পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে বলে ইতিমধ্যেই সব দেশকে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
কিন্তু এখনও ভাইরাসের নতুন রূপের ভয়াবহতা সম্পর্কে পুরোপুরি জানা সম্ভব হয়নি। কিন্তু জিনের বিন্যাসের একাধিক বার বদল ঘটানোয় মনে করা হচ্ছে করোনার এই রূপ উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। দেখে নেওয়া যাক, ওমিক্রন সম্পর্কে কী জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
১) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, আগে যাঁরা কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন, এ রকম ব্যক্তিরা ফের খুব সহজেই আক্রান্ত হতে পারে ওমিক্রনে।
২) জানা যাচ্ছে, এক ব্যক্তির দেহ থেকে অন্যের দেহে কোনও ভাইরাস যত সহজে ছড়িয়ে পড়তে পারে, সেই ভাইরাস তত বেশি সংক্রামক। করোনাভাইরাসের ডেল্টা এবং অন্য রূপের তুলনায় ওমিক্রন বেশি সংক্রামক কি না, তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা এই রূপকে ধরতে সক্ষম বলে জানিয়েছে হু।
৩) কোভিডের বিভিন্ন টিকার উপর এই ভাইরাসের প্রভাব কতটা, তা জানার জন্য কাজ চলছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
৪) করোনার নতুন রূপ ওমিক্রন আরও জটিল রোগ ঘটাবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। করোনার অন্য রূপে আক্রান্ত হলে যে সব উপসর্গ দেখা যায়, তার থেকে আলাদা কোনও উপসর্গ ওমিক্রন ডেকে আনছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
৫) প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্য জানাচ্ছে, কোভিডে আক্রান্ত হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বেড়েছে। কিন্তু সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তেই রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি। কেবলমাত্র ওমিক্রনের জন্য এই বৃদ্ধি কি না, তা বলার পর্যাপ্ত তথ্য এখনও নেই বলে মত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার।চিকিত্সকদের মতে ওমিক্রনের কিছু লক্ষণ রয়েছে যা সম্পূর্ণ ভিন্ন। যদিও আক্রান্তদের মধ্যে ওমিক্রনের লক্ষণ হালকা এবং কিছু রোগী হাসপাতালে ভর্তি না হয়েই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
প্রসঙ্গত, ‘ওমিক্রন’ নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে ইউরোপ, আমেরিকাতেও। ভারতও যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কিঞ্চিত্ ভয়ও জাগিয়েছে এক্ষেত্রে। কেননা, তারা জানিয়েছে, এই প্রজাতির ক্ষেত্রে উপসর্গ না-ও দেখা দিতে পারে। অতএব, এতটুকু শৈথিল্যকে প্রশ্রয় না দিয়ে কঠোরভাবে কোভিডবিধি মেনে চলার কথাই বলা হচ্ছে হু-র তরফে।
সুত্র: নিউজ ১৮ বাংলা