জাতীয়

সিডিএসের মৃত্যু নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য প্রতিবেশী দেশ চীনের

China on Bipin Rawat Death: সিডিএসের মৃত্যু নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য প্রতিবেশী দেশ চীনের - West Bengal News 24

সিডিএসের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে আরও একবার প্রকাশ্যে প্রতিবেশী দেশ চীনের অসংবেদনশীল চেহারা। নৈতিকতা ভুলে সিডিএসের মৃত্যু নিয়ে বিস্ফোরক চীন। সিডিএস বিপিন রাওয়াতের মৃত্যুর পর চীন সরকার তার মুখপত্র গ্লোবাল টাইমসের মাধ্যমে ভারতের সেনাবাহিনীর শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। জেনারেল রাওয়াতের মৃত্যুকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ত্রুটির ফল বলে উল্লেখ করেছে চীন।

গ্লোবাল টাইমস লিখেছে, “হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ভারতের প্রতিরক্ষা প্রধানের মৃত্যু শুধু ভারতীয় সেনাবাহিনীর শৃঙ্খলা ও যুদ্ধ প্রস্তুতির অভাবকেই প্রকাশ করেনি বরং দেশের সামরিক আধুনিকায়নেও ব্যাপক ধাক্কা লেগেছে। চীন বিরোধী ভারতীয় প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার মৃত্যুর পরও দুই দেশের সীমান্ত এলাকায় ভারতের আগ্রাসী অবস্থানের পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা নেই।”গ্লোবাল টাইমস বিপিন রাওয়াতকে চীনবিরোধী বলে অভিহিত করেছে

গ্লোবাল টাইমস যে বিষ উগরে দিয়েছে, সে অনুযায়ী জেনারেল বিপিন রাওয়াতকে চীন বিরোধী এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীতে শৃঙ্খলার অভাব বলে বর্ণনা করা হয়েছে। যেখানে ভারতীয় সেনাবাহিনী বিশ্বের শীর্ষ পেশাদার সেনাবাহিনীর অন্তর্ভুক্ত বলে অভিহিত করা হয়, সেখানে চীন এটিকে একটি শৃঙ্খলাহীন সামরিক সংস্কৃতি বলে উল্লেখ করেছে। চীন বলছে ভারতীয় সেনা এসওপি মানেনি।

আরও পড়ুন: চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াতের শেষকৃত্য শুক্রবার

আসলে জিনপিং সরকারের মুখপত্র গ্লোবাল টাইমসের সম্পাদক হু জিজিন জি জানেনই না যে, শহীদ সেনারা শত্রু দেশের হলেও তাদের বলিদান দেখে মাথা নত করে সকলেই। সিডিএস জেনারেল বিপিন রাওয়াতের শেষকৃত্যে যোগ দিতে ভারতে আসছেন শ্রীলঙ্কার সেনাপ্রধান। ভুটানের সেনা প্রমুখও ভারতে আসছে, কিন্তু চীনের থেকে এমন কিছু কখনই আশা করা যায় না।

চীনকে জবাব দিলেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান ভারতীয় সেনাবাহিনীর ওপর প্রশ্ন তোলা গ্লোবাল টাইমসকে জবাব দিয়েছেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান ভিপি মালিক। তিনি ট্যুইটারে লিখেছেন, “সামাজিক নৈতিকতা এবং মূল্যবোধের বিশাল অভাব রয়েছে, তাই আমরা PLA থেকে কী আশা করতে পারি? সিডিএস জেনারেল বিপিন রাওয়াতের মৃত্যুতে চীনা মুখপত্র দ্বারা করা মন্তব্য অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং অনুপযুক্ত।

কোনও দেশ কিভাবে এমন সহানুভূতি ও নৈতিকতার অভাব দেখাতে পারে? কিন্তু এই চীন। তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও যুদ্ধাপরাধের ইতিহাস রয়েছে।”

 

আরও পড়ুন ::

Back to top button