করোনা পরিস্থিতির কারণে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার প্রায় দেড় বছর পর পৌরভোট হচ্ছে কলকাতায়। ফলে এই ভোট উত্তেজনা তুঙ্গে।
কলকাতা পুরভোটে এড়ানো গেল না হিংসা। রবিবার পুরভোটের সকাল থেকেই শহর কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর মেলে। কোথাও মারধর, কোথাও বোমাবাজির অভিযোগ। একাধিক ক্ষেত্রে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ বিরোধীদের। প্রতিবাদে সোচ্চার বিজেপি। অনিয়ম দেখলে আগেই কমিশন অফিস ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি ছিল গেরুয়া শিবিরের।
এদিনের একাধিক অশান্তির পর কমিশনের দফতরে যান বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালরা। পরে তাঁরা জানান, দুপুর ১টা থেকে রাজ্যজুড়ে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাবেন পদ্ম নেতা-কর্মীরা। ভোট শেষে আরও বড় আন্দোলনের হুমকি বিজেপি নেতৃত্বের।কলকাতা পুরনিগমের ১৬টি বোরের ১৪৪টি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ চলছে। ভোটের গণনা ২১ ডিসেম্বর।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে কলকাতা পুরনিগমের ভোট চেয়েছিল বিরোধিরা। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে সেই আবেদনের নিষ্পত্তি হয়নি। ভোটে থাকছে না কেন্দ্রীয় বাহিনী। হাইকোর্ট ভোটের নিরাপত্তায় কলকাতা পুলিশের উপরই আস্থা রেখেছে। কিন্তু পুলিশের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।
আরও পড়ুন: একমাত্র মমতা-অভিষেকের নিরাপত্তারক্ষীকেই বুথে প্রবেশের অনুমতি: রাজ্যপাল
পরিসংখ্যানের বিচারে, ২০১৫ সালে বিজেপি কলকাতা পুরভোটে সাতটি ওয়ার্ডে জয় পেয়েছিল। পদ্ম পাপড়ি মেলেছিল ৭, ২২, ২৩, ৪২, ৭০, ৮৬, এবং ৮৭ নম্বর ওয়ার্ডে। পরে ৭ এবং ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলের নিরিখে কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২২টি ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল গেরুয়াবাহিনী।
কিন্তু, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের ফলাফলের নিরিখে শক্তিক্ষয় হয় বিজেপির। মাত্র ১২টি আসনে এগিয়ে ছিল তারা। কিন্তু, ভবানীপুর উপনির্বাচনের পর আরও ২টি কমে ১০টি ওয়ার্ডে এগিয়ে গেরুয়া শিবির।
এই প্রেক্ষাপটে এবার ভোটে অ্যাডভানটেড তৃণমূল। আসন বৃদ্ধিই লড়াই রাজ্যের শাসক শিবিরের। অন্যদিকে ভোট বাড়ানোর চ্যালেঞ্জ বিজেপির। অস্বিত্ব জানান দেওয়ার সুযোগ বাম-কংগ্রেসের সামনে।
সুত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা