তুমুল যুদ্ধের মধ্যেই কনেকে নিয়ে দেশে ফিরলেন হায়দ্রাবাদের যুবক
ইউক্রেন নাম নিতেই সবার চোখে ভেসে ওঠে এমন একটি দেশ- যার বাতাসে বারুদের গন্ধ, আকাশে বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের ঝলকানি। এমন যুদ্ধক্ষেত্রে প্রেমের গল্প লিখলেন এক হায়দ্রাবাদের তরুণ ও এক ইউক্রেনীয় তরুণী, যা হার মানালো সিনেমার গল্পকেও। তবে এখানেই গল্পের শেষ না। রাশিয়া-ইউক্রেনের তুমুল যুদ্ধের মধ্যেই বিয়ে করে অক্ষত অবস্থায় দেশে চলে এসেছেন তারা।
গল্পের নায়ক হায়দ্রাবাদের তরুণ- প্রতীক। তিনি হায়দ্রাবাদের বাসিন্দা। নায়িকা ইউক্রেনের মেয়ে লুবভ। যেদিন রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের মাটি কেঁপে উঠল, ঠিক তার আগের দিন অর্থাৎ ২৩ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করেন প্রতীক ও লুবভ।
প্রতীকের বিয়ের কথা আগেই জানত তার পরিবার। তাই হায়দ্রাবাদে বাড়ির লোকজন পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী রিসেপশনের আয়োজন করে ঠিক কয়েকদিন পর। কিন্তু যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে প্রাণ বাঁচিয়ে দেশে ফেরা ছিল তাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ।
আরও পড়ুন : ‘দেশে হিজাব পরায় নিষেধাজ্ঞা নেই’ : কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
বিয়ের পর অনেক দিন ইউক্রেনের মাটিতে আটকা পড়ে থাকলেও এই চ্যালেঞ্জে জয়ী হতে শেষ পর্যন্ত সক্ষম হন তারা। সময়মতো দেশে ফিরে চিলকুর বালাজি মন্দিরে আরেকবার বিয়ে করেন প্রতীক ও ইউক্রেনের লুবভ।
বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন- প্রতীকের বাবা মালিকার্জুন রাও ও মা পদ্মজা। যদিও লুবভের পরিবারের কেউ আসতে পারেননি। অব্যাহত রুশ আগ্রাসনে সবার ইউক্রেন ত্যাগ করা মোটেও সহজ নয়। তাই প্রতীক শুধু তার জীবনসঙ্গীকে নিয়ে দেশে ফিরে আসেন।
এতো জটিল পরিস্থিতিতেও প্রতীক আর লুবভ যখন ভারতের মাটিতে পা ফেলতে সক্ষম হন, তখন অনেকেই মনে করেন শুধু ভালোবাসার জোরেই এমনটা সম্ভব হয়েছে!