আন্তর্জাতিক

খাবারের জন্য দীর্ঘ সারি ইউক্রেনের শহরে, পথে বুভুক্ষু মানুষ

Ukraine Crisis : খাবারের জন্য দীর্ঘ সারি ইউক্রেনের শহরে, পথে বুভুক্ষু মানুষ - West Bengal News 24

দোকানের দরজা থেকে শুরু হয়েছে সারি। দরজার চৌকাঠ থেকে উঠোন, যা কম করে আধা কিলোমিটার দূরের রাস্তায় গিয়ে মিলেছে। সার দেয়া মানুষের পঙক্তি বেঁকেচুরেও শেষপর্যন্ত উঠোনে আঁটিয়ে উঠতে পারেনি নিজেকে। কংক্রিটের চত্বর ছাপিয়ে গিয়ে পড়েছে রাস্তায়।

জায়গাটা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ। যে শহর এখন প্রতি মুহূর্তে প্রহর গুনছে হামলার। যেখানে বিশাল বহর নিয়ে যে কোনও সময় অনুপ্রবেশ করতে পারে রুশ সেনারা। ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণের ভয়ে যেখানে স্থানীয় বাসিন্দারা কেউ সেনার বাঙ্কারে, কেউ বা মেট্রো স্টেশনে আশ্রয় নিয়েছেন। সেই কিভে খোলা আকাশের নীচে এতগুলো মানুষ! প্রাণের ভয় নেই এদের!

আরও পড়ুন : ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের নাচের ভিডিও ভাইরাল, দেখুন সেই ভিডিও

স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গেল, প্রাণের ভয়ের থেকেও বড় সমস্যা এখন পেটের দায়! সাত দিনের যুদ্ধে বাড়িতে জমা খাবার শেষ হয়ে গেছে। খিদের জ্বালা শিশুরা তো বটেই, বড়রাও সহ্য করতে পারছেন না। বাধ্য হয়েই ছাদের নিরাপদ আড়াল ছেড়ে রাস্তায় নামতে হয়েছে। দোকানে পৌঁছে লাইন দিতে হয়েছে শ’খানেক মানুষের পেছনে। খাবার কেনার সেই লাইনের ছবি ধরা পড়েছে মহাকাশ থেকে। কৃত্রিম উপগ্রহের তোলা ছবিতে।

Ukraine Crisis : খাবারের জন্য দীর্ঘ সারি ইউক্রেনের শহরে, পথে বুভুক্ষু মানুষ - West Bengal News 24

কিয়েভের মতোই ইউক্রেনের আরেক শহর চারনিহিভেও একই দৃশ্য ধরা পড়েছে কৃত্রিম উপগ্রহের তোলা ছবিতে। যুক্তরাষ্ট্রের ওই উপগ্রহ চিত্রেই এর আগে ধরা পড়েছিল রাশিয়ার প্রায় ৬৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সেনা সাঁজোয়ার ছবিও।

ম্যাক্সার নামে ওই কৃত্রিম উপগ্রহের ছবিতে ধরা পড়েছে বোমা বর্ষণে বিধ্বস্ত বাড়ির ছবিও। সার দিয়ে পর পর বাড়ির মাথা থেকে বেরিয়ে আসছে কালো ধোঁয়া।

Ukraine Crisis : খাবারের জন্য দীর্ঘ সারি ইউক্রেনের শহরে, পথে বুভুক্ষু মানুষ - West Bengal News 24

আর একটি ছবিতে ধরা পড়েছে চারনিহিভ শহরের সীমান্তে সেনা সাঁজোয়ার সারি। বোমাবর্ষণে ধ্বংস হয়ে যাওয়া জনবসতি এলাকার ছবিও দেখা গেছে উপগ্রহ চিত্রে। একটা বাড়িরও ছাদ নেই। দেয়াল ছাদ গুঁড়িয়ে পড়ে আছে শুধু খোপ কাটা ঘরের মেঝে।

সীমান্ত এলাকায় দেশ ছাড়তে ইচ্ছুক ইউক্রেনীদের ভিড়ও উঠে এসেছে উপগ্রহচিত্রে। সূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন।

সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল

আরও পড়ুন ::

Back to top button