আন্তর্জাতিক

অসুস্থ মায়ের ওষুধ কিনতে বের হয়ে হামলায় নিহত মেয়ে!

অসুস্থ মায়ের ওষুধ কিনতে বের হয়ে হামলায় নিহত মেয়ে! - West Bengal News 24

অসুস্থ মায়ের জন্য ওষুধ কিনতে বেরিয়ে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর ট্যাংকের হামলায় এক ইউক্রেনীয় নারী নিহত হয়েছেন। নিহত ওই নারীর নাম ভ্যালেরিয়া মাকসেতস্কা। অসুস্থ মায়ের ওষুধ শেষ হয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের কাছের একটি শহরের বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি।

ভ্যালেরিয়া মাকসেতস্কা মার্কিন সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডি’র একটি অংশীদার সংস্থায় কাজ করতেন এবং কিয়েভের কাছে একটি শহরে তার মা ও ড্রাইভারসহ তাকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার (১৩ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভ্যালেরিয়া মূলত রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর হাতে অবরুদ্ধ বাসিন্দাদের সহায়তা করার জন্য কিয়েভে থাকার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু তার মা ইরিনার ওষুধ শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা বাইরে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। একপর্যায়ে রুশ সেনাদের ট্যাংকের গোলায় ভ্যালেরিয়া, তার মা ইরিনা এবং তাদের গাড়িচালক ইয়ারোস্লাভ নিহত হন।

এদিকে রুশ হামলায় ভ্যালেরিয়াসহ ৩ জনের প্রাণ হারানোর তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইউএসএআইডি’র প্রশাসক সামান্থা পাওয়ার। ৩২তম জন্মদিনের মাত্র কয়েকদিন আগে ট্যাংকের গোলায় তিনি নিহত হন বলে জানিয়েছেন পাওয়ার।

সংবাদমাধ্যম বলছে, পেশায় চিকিৎসাকর্মী ৩১ বছর বয়সী ভ্যালেরিয়া মূলত ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দোনেতস্কের বাসিন্দা। কিন্তু রাশিয়ার সহায়তায় বিদ্রোহী যোদ্ধারা ভূখণ্ডটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর মাকে নিয়ে পালিয়ে আসেন রাজধানী কিয়েভের শহরতলীতে। চিকিৎসাকর্মী হিসেবে দোনেতস্কে আহতদের চিকিৎসা করতেন ভ্যালেরিয়া। কিয়েভের শহরতলীতে পৌঁছেও সেই কাজ ছাড়তে পারেননি তিনি। যোগ দেন ইউএসএআইডি-তে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সেই সংস্থার একটি অংশীদার প্রতিষ্ঠানের হয়েই আহতদের চিকিৎসা সেবা চালিয়ে আসছিলেন ভ্যালেরিয়া। এর মধ্যে মাকে নিয়ে দেশ ছাড়ার সুযোগ এসেছিল ভ্যালেরিয়ার কাছে। কিন্তু দেশের মানুষকে অসহায় অবস্থার মধ্যে ফেলে যেতে পারেননি। সেই ভ্যালেরিয়াই কার্যত মরিয়া হয়ে ওষুধের খোঁজ করছিলেন, মায়ের জন্য। কিন্তু ওষুধের বদলে মিলল গোলা।

আরও পড়ুন: ইউক্রেনের অস্ত্র সরবরাহ হামলার লক্ষ্যবস্তু রাশিয়ার

আর মাত্র কয়েকদিন পরই ছিল ভ্যালেরিয়ার ৩২তম জন্মদিন। এছাড়া ২০১৪ সালে রাশিয়ার ক্রিমিয়া আগ্রাসনের সময়ও আহতদের চিকিৎসায় মাঠে নেমেছিলেন ভ্যালেরিয়া।

সামান্থা পাওয়ার জানিয়েছেন, ‘রুশ আগ্রাসন শুরুর সময়ই ইউক্রেন ছাড়তে পারতেন ভ্যালেরিয়া। কিন্তু তিনি যে কাজে আছেন, তা যুদ্ধের সময়ই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করতেন এই চিকিৎসাকর্মী। তাই দেশ ছেড়ে যাওয়ার প্রশ্নই নেই। মায়ের ওষুধের খোঁজ করতে ঘুরছিলেন, কিন্তু রাশিয়ার গোলা তাকেও ছাড়ল না।’

অসুস্থ মায়ের জন্য ওষুধ কিনতে বেরিয়ে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর ট্যাংকের হামলায় এক ইউক্রেনীয় নারী নিহত হয়েছেন। নিহত ওই নারীর নাম ভ্যালেরিয়া মাকসেতস্কা। অসুস্থ মায়ের ওষুধ শেষ হয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের কাছের একটি শহরের বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি।

ভ্যালেরিয়া মাকসেতস্কা মার্কিন সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডি’র একটি অংশীদার সংস্থায় কাজ করতেন এবং কিয়েভের কাছে একটি শহরে তার মা ও ড্রাইভারসহ তাকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার (১৩ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভ্যালেরিয়া মূলত রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর হাতে অবরুদ্ধ বাসিন্দাদের সহায়তা করার জন্য কিয়েভে থাকার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু তার মা ইরিনার ওষুধ শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা বাইরে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। একপর্যায়ে রুশ সেনাদের ট্যাংকের গোলায় ভ্যালেরিয়া, তার মা ইরিনা এবং তাদের গাড়িচালক ইয়ারোস্লাভ নিহত হন।

এদিকে রুশ হামলায় ভ্যালেরিয়াসহ ৩ জনের প্রাণ হারানোর তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইউএসএআইডি’র প্রশাসক সামান্থা পাওয়ার। ৩২তম জন্মদিনের মাত্র কয়েকদিন আগে ট্যাংকের গোলায় তিনি নিহত হন বলে জানিয়েছেন পাওয়ার।

সংবাদমাধ্যম বলছে, পেশায় চিকিৎসাকর্মী ৩১ বছর বয়সী ভ্যালেরিয়া মূলত ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দোনেতস্কের বাসিন্দা। কিন্তু রাশিয়ার সহায়তায় বিদ্রোহী যোদ্ধারা ভূখণ্ডটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর মাকে নিয়ে পালিয়ে আসেন রাজধানী কিয়েভের শহরতলীতে। চিকিৎসাকর্মী হিসেবে দোনেতস্কে আহতদের চিকিৎসা করতেন ভ্যালেরিয়া। কিয়েভের শহরতলীতে পৌঁছেও সেই কাজ ছাড়তে পারেননি তিনি। যোগ দেন ইউএসএআইডি-তে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সেই সংস্থার একটি অংশীদার প্রতিষ্ঠানের হয়েই আহতদের চিকিৎসা সেবা চালিয়ে আসছিলেন ভ্যালেরিয়া। এর মধ্যে মাকে নিয়ে দেশ ছাড়ার সুযোগ এসেছিল ভ্যালেরিয়ার কাছে। কিন্তু দেশের মানুষকে অসহায় অবস্থার মধ্যে ফেলে যেতে পারেননি। সেই ভ্যালেরিয়াই কার্যত মরিয়া হয়ে ওষুধের খোঁজ করছিলেন, মায়ের জন্য। কিন্তু ওষুধের বদলে মিলল গোলা।

আর মাত্র কয়েকদিন পরই ছিল ভ্যালেরিয়ার ৩২তম জন্মদিন। এছাড়া ২০১৪ সালে রাশিয়ার ক্রিমিয়া আগ্রাসনের সময়ও আহতদের চিকিৎসায় মাঠে নেমেছিলেন ভ্যালেরিয়া।

সামান্থা পাওয়ার জানিয়েছেন, ‘রুশ আগ্রাসন শুরুর সময়ই ইউক্রেন ছাড়তে পারতেন ভ্যালেরিয়া। কিন্তু তিনি যে কাজে আছেন, তা যুদ্ধের সময়ই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করতেন এই চিকিৎসাকর্মী। তাই দেশ ছেড়ে যাওয়ার প্রশ্নই নেই। মায়ের ওষুধের খোঁজ করতে ঘুরছিলেন, কিন্তু রাশিয়ার গোলা তাকেও ছাড়ল না।’

 

আরও পড়ুন ::

Back to top button