রাজ্য

অনেকেই হিংসা করেন রাজ্যের ঐক্য দেখে : মুখ্যমন্ত্রী

অনেকেই হিংসা করেন রাজ্যের ঐক্য দেখে : মুখ্যমন্ত্রী - West Bengal News 24

দেশ উদযাপন করেছে ঈদ-উল-ফিতর। লকডাউন ছিল গত দুই বছর। তাই গোটা রাজ্যবাসী ঘরে বসেই জৌলুসহীন ঈদ পালন করেছিলেন। তবে আলাদা হয়েছে এবারের পরিস্থিতি। হাজারো ধর্মপ্রাণ মুসলিম আবদ্ধ হলেন সংক্রমণ কাটিয়ে ধর্মীয় প্রার্থনার পর খুশির আলিঙ্গনে পরস্পরের সঙ্গে।

মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জমায়েত হন লাখ লাখ মানুষ ঈদের নমাজ পড়তে।

তবে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসাম, মেঘালয়ের বেশ কিছু এলাকায় ঈদের নামাজ পড়তে সমস্যার সম্মুখীন হন মুসলিমরা সকাল থেকেই খারাপ আবহাওয়ার কারণে।

স্বাভাবিক ছন্দে আবার ফিরেছে জনজীবন। তাই রেড রোডে দেখা গেছে কলকাতার সবথেকে বড় ঈদের জামাত। সকাল সাড়ে আটটার সময় নমাজ পড়া শুরু হয় বৃষ্টি মাথায় নিয়েই। ইমাম কোয়ারি ফজলুর রহমান নমাজ পড়ান।

রেড রোডের নামাজে অংশ নেয় প্রায় দুই থেকে তিন লাখ মানুষ। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

তিনি দেশে বিভাজনের রাজনীতি চলছে বলে অভিযোগ করেন।

নাম না নিয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে মমতা বলেন, বাংলার ঐক্য দেখে অনেকের হিংসা হয়। মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই করব। মাথা নোয়াব না। ভয় পাবেন না, লড়াই করুন।

রেড রোডের পাশাপাশি কলকাতার পার্ক সার্কাসের নামাজেও ধরা পড়েছে ব্যাপক জনসমাগমের ছবি।

বৃষ্টিবিঘ্নিত সকালে স্থানীয় চেতলা মসজিদেই ঈদের নামাজ পড়েন কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম। কলকাতার পাশাপাশি রাজ্যের জেলাগুলোতেও নামাজ আদায় শেষে আনন্দ উদ্দীপনার সাথে পালিত হয়েছে ঈদের আয়োজন।

দেশের অন্যতম বৃহত্‍ দুই মসজিদ- রাজধানী দিল্লির জামে মসজিদ ও লখনৌর রুমি দারওয়াজায় নামাজে অংশ নিয়েছে লাখো মানুষ। নিরাপত্তায় মোতায়েন ছিল বিপুলসংখ্যক পুলিশ। আহমেদাবাদ জামে মসজিদ, থিরুভানানথাপুরমের পালায়াম জামে মসজিদ, পাঞ্জাবের অমৃতসরে খায়রুদ্দিন মসজিদ, মুম্বাইয়ের মহিম দরগাতেও ছিল ব্যাপক জনসমাগম।

মুসলিমদের এ ধর্মীয় উত্‍সবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ, প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন ::

Back to top button