Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
খেলা

আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে জয় ভারতের!

আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে জয় ভারতের!

এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ারস ম্যাচে প্রথম ম্যাচে খারাপ ফুটবল খেলেও কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে জয় পেতে সমস্যা হয়নি ভারতীয় ফুটবল দলের। কিন্তু শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ভাল ফুটবল খেলেও কিছুতেই গোল পাচ্ছিল না ভারত। মাঠ ভরিয়ে এসেছিলেন সর্মথকরা। দুর্দান্ত পরিস্থিতি ফুটবল ম্যাচের জন্য। খেলাটাও দারুণভাবে শুরু করেছিল ভারত।

৪-২-৩-১ ফর্মেশন নিয়ে ভারত আফগানিস্তান এর ওপর চাপ রাখছিল। সুনীল, মনবীর, লাস্টন মোহ মোহ আক্রমণ তুলে আনছিলেন। কিন্তু আসল কাজ অর্থাৎ গোল সেটাই আসছিল না বক্সের মধ্যে কাজের কাজ না করতে পারার জন্য। এটাই গোটা ম্যাচের সারমর্ম। জিকসন সিং এদিন মিডফিল্ডে দুর্দান্ত ফুটবল খেলেন। বিশেষ করে দুটো উইং আশিক এবং মনবীর প্রচুর পরিশ্রম করলেন ভারতের হয়ে।

ডিফেন্সে সন্দেশ এবং আনোয়ার ভরসা দিচ্ছিলেন। মনে হচ্ছিল ম্যাচটা ড্র হয় শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু যতক্ষণ সুনীল ছেত্রী আছেন ভারতের নিশ্বাস চলে। সেটা আজকে প্রমাণিত। ৮৫ মিনিটে প্রথম গোল ভারতের। বক্সের বাইরে থেকে ফ্রিকিক অনবদ্য দক্ষতায় জালে জড়িয়ে দিলেন সুনীল ছেত্রী। কয়েক মিনিটের মধ্যে গোল শোধ আফগানদের। জুবের হেডে গোল করেন।

কিন্তু লড়াই ছাড়েনি ভারত। আশিকের দুর্দান্ত পাস থেকে জয়সূচক গোলটি করে গেলেন সাহাল আব্দুল সামাদ। নিচু শটে পরাস্ত করলেন আফগান গোলরক্ষককে। তবে ম্যাচের শেষে উত্তেজনা ছড়ায়। দু’দলের ফুটবলাররা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। তবে ঝামেলা বেশি দূর বাড়েনি।

শেষ পর্যন্ত জয় এবং তিন পয়েন্ট পেল ভারত। হংকং ম্যাচের আগে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পেয়ে গেল ব্লু টাইগাররা। এদিন ভারতের হয়ে অনবদ্য ফুটবল খেলেন কেরলের আশিক কুরুনিয়ান। তার শক্তিশালী দৌড় এবং ডজ করার ক্ষমতা আফগানদের চেপে রাখে।

ম্যাচ শেষে সুনীল জানিয়ে গেলেন ভেবেছিলাম বোধহয় এক পয়েন্ট নিয়ে ফিরব। আমি উঠে যাওয়ার পরেও ছেলেরা হাল ছাড়েনি। সাহাল বুদ্ধি করে বলটা জালে রেখেছে। প্রত্যেকে জানত আমাদের আজকের ম্যাচ কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের এশিয়ান কাপে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। একবার করলেই যথেষ্ট নয়। বার বার করতে হবে।

এই দলের প্রচুর বাচ্চা ছেলে আছে। ওদের জন্য আমি গর্বিত। আমার একার কথা বলতে চাই না। এটা পুরো টিমের জয়। কলকাতার মানুষের সামনে আবার খেলতে পারাটা দারুণ অভিজ্ঞতা। সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাব। ওরা শেষ পর্যন্ত আমাদের জন্য গলা ফাটিয়েছেন। তবে হংকং কিন্তু টেকনিক্যালি আরও শক্তিশালী দল।

আরও পড়ুন ::

Back to top button