বিজেপির নবান্ন অভিযান নিয়ে অনুসন্ধান কমিটির রিপোর্ট, সিবিআই তদন্তের দাবি
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে ১৩ সেপ্টেম্বর ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। রীতিমত রণক্ষেত্র আকার নিয়েছিল হাওড়া ও কলকাতা। জ্বলেছিল পুলিশের গাড়ি, মারধর করা হয় উর্দিধারীদের। পাল্টা বিজেপি কর্মীদেরও রুখতে লাঠি চার্জ, জলকামানের ব্যবহার করেছিল পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের খণ্ডযুদ্ধে একাধিক পদ্ম কর্মী, সমর্থক গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
বিজেপির অভিযোগ, শাসক তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়ে ‘অত্যাচার’ চালিয়েছিল পুলিশ। এরপরই বাংলায় আসে বিজেপির পাঁচ সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন রাজ্যসভার সাংসদ ব্রজলাল, লোকসভার সাংসদ কর্নেল রাজ্যবর্ধন সিং রাঠৌর, লোকসভার সাংসদ অপরাজিতা সারেঙ্গি, রাজ্যসভার সাংসদ সমীর ওরাও এবং পঞ্জাবের সুনীল জাখার।
১৭ সেপ্টেম্বর আহত বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরহিত সহ বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। এরপর শনিবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছে রিপোর্ট জমা দেন তাঁরা। বঙ্গ বিজেপির নবান্ন অভিযান নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের হস্তক্ষেপের দাবি তোলা হয়েছে।
আরও পড়ুন :: মহালয়ায় কি বৃষ্টি নাকি ভ্যাপসা গরম, জানিয়ে দিল হাওয়া অফিস
২৫ পাতার রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, নৃশংসভাবে হামলা করা হয়েছে। রিপোর্টে ঘটনার দিনের একাধিক ছবিও দেওয়া হয়েছে। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের ছবির পাশাপাশি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেও ছবি দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে কেউ মুখ ঢেকে, অনেকে আবার সাধারণ পোশাকে তৃণমূলের গুন্ডাদের সঙ্গে নিয়ে হামলা চালিয়েছে। বিরোধীদের কন্ঠরোধে সাঁতরাগাছি, হাওড়া ময়দানে ১৪৪ ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে। পাথর ছোড়া, জলকামান, রবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস, লাঠির ব্যবহার শুধুমাত্র দুর্ভাগ্যের নয়, সাংবিধানিক অধিকার ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল বলেও রিপোর্টে ধিক্কার জানানো হয়েছে।
বিজেপি রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রায় ৭৫০ জন মানুষ ও বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন। অনেকে আইসিইউয়ে ভর্তি রয়েছেন। ৫৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ৬০ জন এখনও পুলিশ হেফাজতে। একইসঙ্গে অভিযোগ করে বলা হয়েছে, তিন আইপিএস সিদ্ধানাথ গুপ্তা, আইপিএস দময়ন্তী সেন, আইপিএস প্রবীণকুমার ত্রিপাঠীরা নিজেদের ভূমিকা পালন করেননি।