বৃষ্টির ভ্রুকুটি উপেক্ষা করে সপ্তমীতে জনপ্লাবন, মহাষ্টমীতে কেমন থাকবে আবহাওয়া?
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
এবছর পুজোয় করোনা আতঙ্ক না থাকলেও উৎসবের আনন্দে গেরো বৃষ্টি। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত রাজ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছে আবহাওয়া দফতর রয়েছে। পূর্বাভাসের আশঙ্কা সত্যি করে পুজোতে প্রতিদিনই রাজ্যের কোথাও না কোথাও বৃষ্টি জারি রয়েছে। সেই সময় ছাতা নিয়েই ঠাকুর দেখেছেন দর্শনার্থীরা।
বৃষ্টি উপেক্ষা করেই পুজো মণ্ডপে সকাল থেকেই ভিড় জমাচ্ছেন মানুষ। কিন্তু মনের মধ্যে একটাই আশঙ্কা, আজ থেকে কি বৃষ্টিতে ভাসবে কলকাতা-সহ রাজ্যের একাধিক জেলা! সপ্তমীতে মানুষ চুটিয়ে ঠাকুর দেখেছেন বটে, কিন্তু আজ আবহাওয়া কী খেল দেখাতে চলেছে? অষ্টমীর সন্ধ্যার প্ল্যান পণ্ড করবে না তো বৃষ্টি! সেই সব প্রশ্নের মুখে আশার আলো দেখাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। জানিয়েছে, আজ থেকেই কমছে বৃষ্টির আশঙ্কা, রাত পোহালে ক্রমশ কমে যেতে পারে বৃষ্টি।
আরও পড়ুন :: পুজোর সুর পঞ্চমে, মহা সপ্তমীর জনস্রোত, ঢল নামবে আজ মহাষ্টমীতে
কলকাতা-সহ দুই বঙ্গের একাধিক জেলায় প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। বৃষ্টি হয়েছে দুই মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে। কিন্তু কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলি অসুর বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। বলা যায়, মানুষের স্বতঃস্ফূর্ততার কাছে হার মেনেছে প্রকৃতির চোখরাঙানি। বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্যান্ডেল হপিং করছিলেন যারা, তাদের জন্য সুখবর। ঠাকুর দেখার জন্য আর সেভাবে বৃষ্টিকে ভয় করতে হবে না।
অষ্টমীর থিকথিকে ভিড়ে জনজোয়ার শহরের রাস্তায়। উৎসবের আলোর ফোয়ারা যেন ধূমকেতুর মতো পুচ্ছ নাচিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে সারা কলকাতায়। আনাচকানাচে। রাত যত বাড়ছে, মণ্ডপে মণ্ডপে কালো মাথার সারি ততই দীর্ঘ হচ্ছে। এদিন দুপুরের পর থেকেই অধিকাংশ দফতর ফাঁকা করে অফিসবাবুরা উঁকি দিলেন বাবুবাগান থেকে যোধপুর পার্ক কিংবা টালা প্রত্যয় থেকে সিমলা ব্যায়াম সমিতিতে। সাতসকালেই ভিআইপি রোডের একধারে দেখা গেল পার্কিং করা গাড়ির লাইন।
সূত্র : আরটিভি