এ বছর আর করোনা আতঙ্ক নেই। তবে পুজোতে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। পূর্বাভাস মিললেও যাচ্ছে। কিন্ত তা উপেক্ষা করে রাজ্যবাসী প্রতিমা দর্শনে মণ্ডপে ভিড় জমিয়েছেন।
সপ্তমীতেই জন জোয়ার দেখা গিয়েছে বর্ধমানের বিডিন্ন মণ্ডপে। সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে প্যান্ডেল হপিং।
এখন আর পঞ্চমী, ষষ্ঠী বা সপ্তমী নয়। তার অনেক আগে থেকেই পুজো শুরু হয়ে যায় কলকাতায়। এবার সেই তালিকায় শহর বর্ধমানও। দ্বিতীয়াতেই বর্ধমানের কয়েকটি পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয়াতেও আরও কয়েকটি পুজোর উদ্বোধন করেছেন তিনি।
পুজোর শুরু থেকেই বৃষ্টির আশঙ্কা ছিলই। কিন্তু বৃষ্টি সেভাবে হয়নি। যদিও এই বৃষ্টির কাছে হার মানতে নারাজ বঙ্গবাসী। বর্ধমানে তৃতীয়া থেকে শুরু হয়েছে প্যান্ডেল হপিং।
ষষ্ঠীতে বৃষ্টি উপেক্ষা করে মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় বাড়ছিল দর্শনার্থীদের। তবে সপ্তমীর দিন আবহাওয়া ছিল একেবারেই অনুকূল। রাজ্যে কোনও কোনও দু’এক পশলা বৃষ্টি হয়েছে। শহরের বিগ বাজেটের মন্ডপগুলিতে ছিল দর্শকদের ভিড়ে ঠাসা। সন্ধে নামার অনেক আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল প্যান্ডেল হপিং।
বর্ধমানের লাল্টু স্মৃতি সংঘেএদিন সন্ধে থেকেই দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছিল। এখানে কারুশিল্পের মধ্য দিয়ে বাংলার চাল চিত্র তুলে ধরেছেন উদ্যোক্ততারা। বর্ধমানের বাজে প্রতাপপুর ট্রাফিক কলোনির পুজো মন্ডপেও চোখে পড়ার মতো ভিড় ছিল। এখানে এবছর পুজোর থিম বৃন্দাবনের প্রেম মন্দির। ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে বর্ধমানের আলমগঞ্জ বারোয়ারি সর্বজনীন পুজোতেও। এখানে রাজস্থানের শিল্প সংস্কৃতি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আজ মহাষ্টমীর সন্ধ্যায় প্যান্ডেলে দর্শনার্থীদের ঢল নামবে বলেই আশা পূজো উদ্যোক্তাদের।