প্রেমিকা ও তার মায়ের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ ছবি অয়নের মোবাইলে, তাই কি খুন?
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
প্রেমিকা এবং তার মায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ছিল মোবাইলে। সেই কারণেই কি খুন হতে হল অয়নকে ? তদন্তে উঠে আসা একাধিক প্রশ্নের মধ্যে মূলত এই সম্ভাবনাই ক্রমশ জোরালো হচ্ছে৷
পুলিশ জানতে পেরেছে, মেয়ে এবং নিজের স্ত্রীর সঙ্গে অয়নের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি অয়নের প্রেমিকার বাবাও৷ অয়ন দু’ জনের সঙ্গে থাকা ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি বন্ধুদেরও দেখিয়েছিলেন। এই সব ঘটনা থেকেই অয়নের ওপরে ক্রমশ ক্ষোভে ফুঁসছিল তার প্রেমিকার পরিবার। এমনটাই অনুমান তদন্তকারীদের৷ অবশ্য এখনও সেই মোবাইল ফোনের খোঁজ পায়নি পুলিশ।
তদন্তে নেমে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের সেইসব ছবি মোবাইল থেকে ডিলিট করবে বলেও তা করেনি অয়ন৷ বরং অয়ন ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবিগুলি দেখিয়ে প্রমিকা এবং তার মাকে ব্ল্যাকমেল করত। এমনটাও অনুমান পুলিশের। সমাজের হৃত থেকে নিজেদের বাঁচাতে তাই যে কোনও ভাবে অয়নের ওই মোবাইল ফোন হাতে পাওয়াই ছিল অয়নের প্রেমিকা এবং তার মায়ের উদ্দেশ্য৷ এখনও পর্যন্ত পুলিশের অনুমান, এই বচসার জেরেই অয়নকে পরিকল্পনা করে দশমীর দিন তাঁকে খুন করা হয়েছে। এরপর দেহ লোপাটের পাশাপাশি সরিয়ে দেওয়া হয় সেই মোবাইলটিও।
তদন্তকারীদের অনুমান, রাত তিনটের পরেই প্রেমিকার বাড়ির দোতলার ঘরে খুন করা হয় অয়নকে৷ খুনের সঙ্গে জড়িত নিহত অয়নের প্রেমিকা, তার মা- বাবা, নাবালক ভাই-সহ সাতজন। খুনের পর দেহ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার মগরাহাটের মাগুরপুকুর এলাকায় নিয়ে গিয়ে ফেলে দেওয়া হয় ৷ পুলিশ বা সাধারণ মানুষের সন্দেহ এড়াতে দোতলার ওই ঘরে থাকা রক্তের দাগ ধুয়ে সাফ করে খুনি পরিবার। এমনকী, পরের দিন অয়নের খোঁজ করতে তাঁদের বাড়িতেও যান অয়নের প্রেমিকা৷ কিন্ত শেষরক্ষা করতে পারল না, পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গেল খুনি পরিবার।