রাজ্য

পুজো মিটতেই প্রাথমিকে ১১ হাজার শূন্য পদে নিয়োগ শুরু, আপত্তি ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

পুজো মিটতেই প্রাথমিকে ১১ হাজার শূন্য পদে নিয়োগ শুরু, আপত্তি ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের

পুজো পেরোলেই প্রাথমিকে ১১ হাজার শূন্য পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কিন্ত সেই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীরা। তাঁদের মতে, ২০১৪ সালের টেট দুর্নীতি আদালতে স্পষ্ট হয়েছে। তা হলে ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত প্রার্থীদের কেন ফের প্রতিযোগিতায় নামতে হবে? সেই প্রশ্ন তুলেছে তাঁরা। তাই সরাসরি চাকরি না-দিলে ফের আইনি লড়াইয়ে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

পুজোর আগেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক টেট পাশ প্রশিক্ষিত চাকরিপ্রার্থীরা ২১ অক্টোবর থেকে পর্ষদের ওয়েবসাইটে আবেদন করতে পারবেন। প্রাথমিক শিক্ষকের ১১ হাজার শূন্য পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। যদিও সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যোগ দিতে চাইছেন না ২০১৪ সালে টেট পাশ করেও মেধা তালিকায় ঠাঁই না-পাওয়া চাকরিপ্রার্থীরা।

আরও পড়ুন :: প্রেমিকা ও তার মায়ের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ ছবি অয়নের মোবাইলে, তাই কি খুন?

এই বিষয়ে চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য, ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে ঘোষণা করেছিলেন, “২০১৪ সালের ২০ হাজার টেট পাশ করা এবং শিক্ষণ বিষয়ে প্রশিক্ষিত প্রার্থীদের ধাপে ধাপে নিয়োগ হবে। প্রথম ধাপে ১৬ হাজার ৫০০ পদে নিয়োগের কথা বলা হয়েছিল। আমরা আরটিআই করে জানতে পেরেছি, ১৬৫০০-র মধ্যে ৩৯০০ পদে নিয়োগ বাকি আছে। তা হলে এই ৩৯০০ প্রার্থীকে নিয়োগ করা হোক। বাকি প্রার্থীদের মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো সিট বাড়িয়ে নিয়োগ করা হোক।” এমনটাই দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

আক্ষেপের সঙ্গে তারা এও জানান, দাবি জানিয়ে আন্দোলন করতে করতে তাঁদের বয়স ৪০ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। এখন তাঁরা তো আবেদনই করতে পারবেন না! অথচ তাঁদের কোনও দোষ ছিল না। কিন্ত মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা থাকা সত্ত্বেও তাঁরা কেন চাকরি থেকে বঞ্চিত হবেন?

আরও পড়ুন ::

Back to top button