রাজ্য

মানিক-জমানার পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

Manik Bhattacharya : মানিক-জমানার পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ - West Bengal News 24
মানিক ভট্টাচার্য

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছে ইডি। একইভাবে ক্ষোভ উগরে পাহাড় প্রমাণ অভিযোগ চাকরিপ্রার্থীদের।

তাঁদের অভিযোগ, কোনও মেধা তালিকা নেই। নম্বর বিভাজন তো দূরের বিষয়। ২০১২ ও ২০১৪ সালের টেট-এর নিয়োগ প্রক্রিয়ার পুরোটাই অস্বচ্ছভাবে হয়েছে মানিকের নির্দেশে। নিয়োগে স্বচ্ছতার দাবি তুলে তাঁরা মানিক ভট্টাচার্যের কাছে দরবারের চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু পর্ষদের অফিসে তাঁদের ঢুকতেই দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।

এই বিষয়ে এক চাকরিপ্রার্থী প্রশ্ন তোলেন, “২০১৪ সালে প্রথম দফায় ৪২ হাজার নিয়োগ হয়েছে বলে জানিয়েছিল পর্ষদ। কিন্তু তার কোনও মেধা তালিকাই প্রকাশিত হয়নি। যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের নিয়োগপত্র কোথা থেকে কবে দেওয়া হবে, তা এসএমএসে জানানো হয়েছে। কিন্ত কেন সেই তালিকা পর্ষদের ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে না?”

আরও পড়ুন :: চোর’ স্লোগান, মানিক ভট্টাচার্যকে জুতো দেখিয়ে আদালত চত্বরে বিক্ষোভ

প্রথম দফায় ২৮ হাজারের মতো নিয়োগ হয়েছিল। পরে কোভিডের সময়ে ২০২০ সালে স্কুল বন্ধ থাকাকালীন চুপিসারে টাকার বিনিময়ে বহু নিয়োগ হয়েছে বলে তাঁরা জানতে পেরেছিলেন। এমনটাই দাবি।

অপর এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, “৪২ হাজার সত্যিই নিয়োগ হয়েছে কি না সন্দেহ হওয়ায় আমরা পরে দ্বিতীয় দফার ১৬,৫০০ নিয়োগ দেখে আরটিআই করেছিলাম। তাতে জানা যায়, সাড়ে ৯ হাজারের মতো নিয়োগ হয়েছে!’’ তাহলে প্রথম দফায় আদৌ ৪২ হাজার নিয়োগ হয়েছিল কিনা, সে বিষয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। মানিকবাবু এই নিয়ে কোনও উত্তর দেননি।

চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ বা প্রশ্নের ঝুলি এখানেই শেষ নয়। তাঁরা এও প্রশ্ন তোলেন, ওএমআর শিট কেন পুড়িয়ে ফেলা হল? পর্ষদ যে ভুল প্রশ্নের জন্য প্রার্থীদের নম্বর বাড়াল, তারা তা কোন ওএমআর শিটের ভিত্তিতে করেছে?
যদিও পর্ষদের দাবি, ডিজিটাল ওএমআর-শিট তাদের কাছে আছে। সেই ভিত্তিতে নম্বর বেড়েছে।

চাকরিপ্রার্থীদের মতে, আদালতে নিয়োগে অনিয়ম প্রমাণ হয়ে ২৭৩ জনের চাকরি গিয়েছে। কিন্তু তা হিমশৈলের চূড়া। ২০১২ এবং ২০১৪ সালের সঠিক মেধা তালিকা প্রকাশ হলে দেখা যাবে এই সংখ্যা বিপুল হবে। এই পরিস্থিতিতে মানিককে গ্রেফতার পাশাপাশি এ বার তাঁদের দ্রুত নিয়োগও দিতে হবে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button