পুজো শেষ হতেই রাজনৈতিক দলগুলি বিজয়া সন্মিলনীর অনুষ্ঠানে ব্যস্ত। বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যে শুরু হতে চলেছে দলীয় ব্যানারে বিজয়া সন্মিলনীর অনুষ্ঠান ৷ এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দক্ষিণ কলকাতার ‘উত্তীর্ণতে’ বিজয়া সন্মিলনীর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বিজয়া সম্মিলনীকে ‘কর্পোরেট সম্মিলনী’ বলে কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সুযোগ পেলেই যেকোনো বিষয়কে ইস্যু করে শুভেন্দু অধিকারী মূল নিশানা করেন তাঁর পুরোনো দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এবার বিজয়া সম্মিলনী নিয়ে মমতাকে একহাত নিলেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, ‘‘এই ধরনের কর্পোরেট সম্মিলনীর কোনও মূল্য নেই। এতে সাধারণ মানুষ থাকে না। শুধু থাকে তোলামূল পার্টির সদস্য, আর পুলিশ।’’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মঙ্গলবার থেকে গোটা রাজ্যে শুরু হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনী ৷ ১১ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর রাজ্যের প্রতিটি জেলার সব ব্লকে অন্তত একটি করে সভা হবে। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই সভার আয়োজন করা হয়েছে। দলিল সূত্রে জানা গিয়েছে, সভায় কোন বিষয়গুলি তুলে ধরতে হবে সেই সংক্রান্ত গাইডলাইনও দিয়েছিলেন অভিষেক।
আলিপুরের উত্তীর্ণ সভাগৃহে আয়োজিত অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন দলের সুপ্রিমো তথা ভবানীপুর কেন্দ্রের বিধায়ক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি এই বিধানসভা কেন্দ্রের সব জনপ্রতিনিধি ও বিশিষ্টজনদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এদিকে সরকারি উদ্যোগে নিউটাউনের ইকোপার্কে বুধবারও দুর্গাপুজোর পর বিজয়া সম্মিলনী আয়োজন করা হয়েছিল৷ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তি৷ রাজ্য শিল্প দফতরের উদ্যোগে এই বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজনকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি শুভেন্দু অধিকারী।
তিনি বলেন, ‘রাজ্যের শিল্পের বেহাল দশা। এমনকী, রাজ্যের ভাঁড়ার যখন শূন্য তখন লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে প্রতিদিনই বাংলায় চলছে উৎসব।’’