একটা কথা বিশেষভাবে মনে রাখা দরকার, এই পুজোর আগে কিছু দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে ৷ আমাদের দলের কারও কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করা হয়েছে ৷ অনেককে গ্রেফতারও করা হয়েছে। এতে কর্মীদের মনে আঘাত লেগেছে ৷ দলের নেতাদের দুর্নীতি নিয়ে এবার একসঙ্গে সরব হলেন তৃণমূলের সাংসদ এবং মন্ত্রী৷ বরানগরে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে দলের নেতাদের একাংশের দুর্নীতি নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করলেন দলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়৷ রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক অবশ্য স্পষ্ট জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত দুর্নীতির দায় নেবে না দল৷
সম্প্রতি বরানগরে একটি বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে যোগ দেন দমদমের সাংসদ সৌগত রায়। ওই অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওতে সৌগত রায়কে দলের নেতাদের দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়া নিয়ে আক্ষেপ করতে শোনা যায়৷ বেআইনি নিয়োগ নিয়েও মুখ খোলেন তিনি।
আরও পড়ুন :: বিধায়কের অনুরোধেই থেকেছেন, বাড়ি বিতর্কে জবাব মমতার
আক্ষেপের সঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি ব্যথিত হই যখন দেখি দলেরই কেউ কেউ দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছে৷ যাদের ছোট থেকে দেখলাম, তারা কখন দুর্নীতি পরায়ণ হয়ে পড়ল, তা টেরই পেলাম না৷ দেখে দুঃখিত, ব্যথিত হই৷’ যদিও ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪৷
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে আপাতত জেল হেফাজত তৃণমূলের একদা অন্যতম শীর্ষ নেতা এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ৷ গ্রেফতার করা হয়েছে মানিক ভট্টাচার্য৷ অন্যদিকে গরু পাচার কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলও৷ অর্থাৎ দুর্নীতির নানা অভিযোগে অন্য নেতাদের নাম জড়িয়ে তালিকা দীর্ঘই হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সৌগত রায়ের এই বক্তব্য তাই আত্মসমালোচনার মতোই৷
এদিনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাজ্যের সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিকও। বক্তব্য রাখতে গিয়ে পার্থ বলেন, ‘একজন চিকিৎসক ভুল চিকিৎসা করলে কি পরিবারের কাউকে ডাক্তার দেখাতে পাঠাবো না? একজন শিক্ষক খারাপ হলে নিজেদের সন্তানকে কোনও শিক্ষকের কাছে পাঠাবো না? তেমনই তৃণমূলের কোনও নেতা ভুল করলে সেই দায় কখনোই দলের হতে পারে না৷’