“যে হাতে পুলিশ প্রাক্তন কাউন্সিলরকে মারধর করেছে, সেই হাত দিয়ে পা ধরে ক্ষমা চাইতে হবে”। হলদিয়ায় কালীপুজোর অনুষ্ঠানে গিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে এইভাবেই আক্রমণ শানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ এদিকে তাঁর এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে শাসক- বিরোধী চাপানউতোর৷
প্রসঙ্গত, পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর সত্যব্রত দাসের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ করেছিলেন সুতাহাটার বর্ষীয়ান শিক্ষক ও তৃণমূল নেতা কমলেশ চক্রবর্তী। অভিযোগের ভিত্তিতে সুতাহাটা থানার পুলিশ গ্রেফতার করে সত্যব্রত দাসকে। সত্যব্রত দাসের আইনজীবী আদালতে অভিযোগ করেন, গ্রেফতারের পর সত্যব্রত দাসকে মারধর করেছে পুলিশ৷ সেই প্রসঙ্গেই এদিন এমন মন্তব্য করেন শুভেন্দু।
মঙ্গলবার হলদিয়ার সুতাহাটায় একটি কালীপুজোর অনুষ্ঠানে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী৷ হুঁশিয়ারীর সুরে সেখানে তিনি বলেন, ‘শুনে রাখুন পুলিশ বাবা, যে হাত দিয়ে স্বপন দাসের(গ্রেপ্তার হওয়া প্রাক্তন কাউন্সিলর সত্যব্রত দাসের ডাক নাম) কানে আপনি মেরেছেন, ওই দুটো হাত দিয়ে আমি শুভেন্দু অধিকারী স্বপন দাসের পা যদি ধরাতে না পারি, তবে আমার নাম শুভেন্দু অধিকারী নয়। আমি এটা প্রকাশ্য স্থানে মায়ের মূর্তিকে সাক্ষী রেখে বলে গেলাম।”
যদিও শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ৷ শুভেন্দুকে পাল্টা কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘নিজে বাঁচতে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন৷ পুলিশ পুলিশের কাজই করছে৷