আন্তর্জাতিক

পুতিন ও রাশিয়ার বিষয়ে ঋষি সুনাকের অবস্থান কি?

পুতিন ও রাশিয়ার বিষয়ে ঋষি সুনাকের অবস্থান কি?

নানান নাটকীয়তা শেষে যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন ঋষি সুনাক। বিবিসি জানিয়েছে মঙ্গলবার ঋষি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।

মাত্র তিন মাসে যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন পদত্যাগ করেন। এরপর আসেন লিজ ট্রাস। কিন্তু তিনিও পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এরপর ক্ষমতায় আসলেন ঋষি সুনাক।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পদত্যাগ ত্বরান্বিত হয় তৎকালীন অর্থমন্ত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋসি সুনাকের পদত্যাগের মাধ্যমেই। বরিসের মন্ত্রীসভার অর্থমন্ত্রী ছিলেন সুনাক। কিন্তু বরিসকে পদত্যাগে বাধ্য করতে তিনিই সবার আগে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব ছাড়েন। এরপর একে একে মন্ত্রীসভার অন্যরা পদত্যাগ করতে থাকেন। এরপর বাধ্য হয়ে চরম ‘রাশিয়া বিরোধী’ বরিস ক্ষমতা ছাড়েন।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে যখন গোটা ইউরোপ টালমাটাল তখন যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক অঙ্গও টালমাটাল হয়ে পড়েছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইউক্রেনকে সাহায্য ও সমর্থন দিয়েছে যুক্তরাজ্য। আর তিন মাস আগের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এক্ষেত্রে আরও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি ইউক্রেনের জন্য একের পর এক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা দিয়েছিলেন। রাশিয়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গের ওপর আরোপ করেছিলেন নিষেধাজ্ঞা। এমনকি যুদ্ধের মধ্যে তিনবার ইউক্রেন সফরে যান তিনি। এ কারণে বরিসকে ‘অকৃত্রিম বন্ধুর’ তকমাও দিয়েছিল ইউক্রেন।

কিন্তু এর মাঝেই প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন বরিস জনসন। তিনি ক্ষমতা ছাড়ার সময় কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা ও পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। সেখানে শেষ লড়াইয়ে টিকে ছিলেন লিজ ট্রাস ও ঋষি সুনাক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কনজারভেটিভ পার্টির সাধারণ ভোটারদের ভোটে লিজ প্রধানমন্ত্রী হন।

তবে তিন মাস পর ঋষিই প্রধানমন্ত্রী হলেন।

ইউরোপে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাজ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় এখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসছে নতুন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক কি অবস্থান নেবেন বা কি ধরনের পদক্ষেপ নেবেন।

জানা গেছে, বরিসের পদত্যাগের পর ঋষি ও লিজ ট্রাসের মধ্যে যখন প্রধানমন্ত্রিত্ব নিয়ে লড়াই হচ্ছিল তখন বরিস জনসন শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, যদি ঋষি প্রধানমন্ত্রী হয় তাহলে সে ইউক্রেনকে সহায়তাই বন্ধ করে দেবে।

গণমাধ্যম দ্য টাইমস ওই সময় জানিয়েছিল, বরিস জনসন তার কাছের লোকদের বলেছিলেন, তার ভয় ঋষি সুনাক পুতিনের প্রতি ও ইউক্রেনে তার যুদ্ধের প্রতি নমনীয় অবস্থান নেবেন। এমনকি রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেবেন ঋষি।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য সানডে গার্ডিয়ানে গত ২ এপ্রিল প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকারে ঋষি সুনাক বলেছিলেন, আমরা ইউক্রেনের পক্ষে আছি। কিন্তু যুদ্ধ যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির ক্ষতি করছে।

তবে লিজ ট্রাসের সঙ্গে তিন মাস আগে যখন নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছিলেন তখন ঋষি আশ্বস্ত করেছিলেন, ইউক্রেনের পক্ষেই থাকবেন তিনি।

তবে শেষ পর্যন্ত তিনি কোন অবস্থান নেন তা সময়ই বলে দেবে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button