রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট আসন্ন। তার আগে বিরোধীকে ধরাশায়ী করতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে রাজনৈতিক দলগুলি। ‘সন্ত্রাসের সঙ্গে লড়াই করতে গেলে সন্ত্রাসের পথেই হাঁটতে হয়।’ এমনটাই নিদান দিয়েছেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসের সঙ্গে লড়াই করতে গেলে সন্ত্রাসের পথেই হাঁটতে হয়। আমরা সেই পথেই হাঁটব। কেউ যদি ইট মারে, তাহলে তাকে তো পাটকেল খেতেই হবে। তাকে তো আর আমরা বরণ করতে পারব না। তবে সন্ত্রাসের মোকাবিলা করতে হবে সন্ত্রাসের মতো করেই।’
রাজ্য পুলিশের তদারকিতে পঞ্চায়েত ভোট হলে রক্তগঙ্গা বয়ে যাবে’। অন্যদিকে এই কড়া হুশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। রীতিমতো আক্রমণের সুরে তিনি বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে যদি শাসক দল তৃণমূল হিংসার আশ্রয় নেয় তবে মারের বদলা হবে মার।লকেট এবং অগ্নিমিত্রার ‘হিংসা’র এহেন নিদানকে কার্যত সমর্থন জানিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নিদান প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বললেন,’ যদি কেউ মারতে আসে তাহলে দাঁড়িয়ে মার খাব না আমরা। এ নিয়ে মহাভারতের যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে দিলীপের মন্তব্য, ‘ভগবান কৃষ্ণ শান্তি করার অনেক চেষ্টা করেছিলেন, যখন হল না, তখন যুদ্ধ। আমাদের বাঁচার অধিকার আছে, নির্বাচন লড়ার অধিকার আছে, ভোট লড়ার এবং গণতন্ত্রকে বাঁচাবার অধিকার আছে।
আর এরজন্য যে পথে যেতে হবে আমরা সেই পথেই হাঁটব’।অন্যদিকে অগ্নিমিত্রা হুশিয়ারি প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, ‘ঠিকই বলেছেন । ২০১৮ তে যা বলেছিল, রেকর্ড হয়ে যাবে খুনোখুনির, সে জন্য তৃণমূল সেটাই চাইছে। ভয় দেখিয়ে কিম্বা পুলিশ ছাড়া কোনও ভোট তৃণমূল জিততে পারবে না। তবে এবারের পঞ্চায়েত ভোটে আমরা সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধ করব’ বলে বিশ্বাসের সঙ্গে জানিয়েছেন দিলীপ।
গেরুয়া শিবিরের এই হুমকির নিদান প্রসঙ্গে শাসকদলের হেভিওয়েট মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্য, ‘শান্তির বদলে শান্তি। শান্তিতে ভোট করাতে চাইলে আমিও শান্তিতে ভোট করাব। সরকার আমাদের। কিন্তু কেঁচো হয়ে যদি তুমি লাফাও তাহলে সাপ হয়ে আমি কখনোই ফণা তুলব না।” একই সঙ্গে বিরোধীকে নিশানা করে ফিরহাদের হুঁশিয়ারি বার্তা, “উস্কানি দেওয়া বন্ধ করুন। বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন শান্তিতেই হবে’।