ক্লান্তি আসার আসল কারণ কি রক্তশূন্যতা?
অনেকে অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন। রোগের কারণে এমনটা হয়ে থাকে। আবার অবসাদ ও ক্লান্তি থেকেও মানুষ রোগাক্রান্ত হয়।
চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, সামান্য শারীরিক পরিশ্রমে ক্লান্ত হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ রক্তশূন্যতা। রক্তস্বল্পতা থাকলে সামান্য পরিশ্রমেই শ্বাসকষ্ট হওয়া, বুক ধড়ফড় করা বা দুর্বল লাগার মতো সমস্যা হতে পারে। হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের নানা রোগের কারণেও অল্পতেই হাঁপিয়ে যেতে পারেন অনেকেই।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহনূর শারমিন।
হার্টে রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হলে শুধু বুকে ব্যথা হয় না, কখনো কখনো দ্রুত হাঁটলে বা সিঁড়ি ভাঙলে অথবা আরও সামান্য পরিশ্রমেই হয়রান হয়ে যাওয়ার সমস্যা হতে পারে, সঙ্গে বুকে চাপ লাগা বা শ্বাসকষ্টের সমস্যাও অনুভূত হতে পারে। সময়মতো এর চিকিৎসা না নিলে হার্ট অ্যাটাকের মতো জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন : : আঁচিল দূর করার সহজ ও কার্যকরী উপায়
জন্মগত হৃদযন্ত্রের ত্রুটি, হার্ট ভালভের সমস্যা, হার্টের কাজ কমে যাওয়া, যাকে হার্ট ফেইলিউর বলা হয়, এসব সমস্যাতেও রোগী সহজেই ক্লান্ত হয়ে যেতে পারে। আবার ফুসফুসের সমস্যায়ও খানিক পরিশ্রমেই ক্লান্তি লাগা বা হয়রান হয়ে যাওয়ার সমস্যা হয়।
থাইরয়েড হরমোনের অভাবে শরীরে অস্বাভাবিক ক্লান্তি ভর করতে পারে, সঙ্গে থাকতে পারে অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি, কষা পায়খানা বা অতিরিক্ত শীতভাব লাগার ইতিহাস। ডায়াবেটিস যদি অনিয়ন্ত্রিত থাকে তাহলেও হতে পারে সমস্যা, ভাইরাস জ্বর, যেমন ডেঙ্গি, করোনা বা ইনফ্লুয়েঞ্জার পরেও দীর্ঘদিন অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে যাওয়ার সমস্যা থাকতে পারে।
ডিপ্রেশন হলেও শরীরে অনাকাক্ষিত ক্লান্তি ভর করতে পারে। অতিরিক্ত ওজনদার মানুষও ক্লান্ত হয়ে যেতে পারেন খানিক পরিশ্রমেই। স্বল্প পরিশ্রমে হাঁপিয়ে যাওয়ার সমস্যা থাকলে এর প্রতিকারের জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া এবং সঠিক চিকিৎসা নেওয়া দরকার।