রাজনীতিরাজ্য

তৃণমূলে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’, পঞ্চায়েতের আগে নয়া কর্মসূচি নিয়ে কি জানালেন অভিষেক?

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

তৃণমূলে 'দিদির সুরক্ষা কবচ', পঞ্চায়েতের আগে নয়া কর্মসূচি নিয়ে কি জানালেন অভিষেক?

পঞ্চায়েত ভোটকে (Panchayet Election) সামনে রেখে ডাকা দলীয় সভায় আগামী দু’মাসের বিশেষ কর্মসূচির ঘোষণা করল তৃণমূল (Trinamool Congress)।‘দিদিকে বলো’র পর ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে (Panchayet Election) পাখির চোখ করে নয়া কর্মসূচি ঘোষণা তৃণমূলের (Trinamool Congress)।

যে কর্মসূচির লক্ষ্য জনসংযোগ নয় বরং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (General Secretary) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) কথায় মা মাটি মানুষের জীবনের সঙ্গী হওয়া। আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে কর্মসূচি।

কী কী থাকছে ‘দিদির সুরক্ষা কবচে’ ? অভিষেক জানিয়েছেন ,

• বাংলার (West Bengal) ১০ কোটি মানুষ এবং ২ কোটি পরিবারের বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছবেন তাঁরা

• বাংলার জনতা যাতে সরকারের (Government) ১৫ টি ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা ঠিক মতো পেতে পারেন, তার জন্যই এই ব্যবস্থা

• তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) সর্বস্তরের ৩ লক্ষ স্বেচ্ছাসেবীকে দায়িত্ব দেওয়া হবে

• ১১ জানুয়ারি থেকে এই কর্মসূচি (Program) কার্যকর হবে

• ‘দিদির দূত’ হিসাবে তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) ওই সাড়ে তিন লক্ষ প্রতিনিধি কাজ করবে

• প্রতিটি অঞ্চলের সাংসদ, বিধায়ক, জেলা সভাধিপতি-সহ এলাকার রাজনৈতিক (Political) এবং প্রশাসনিক (Administrative) প্রধানদের নিয়ে ৩২০ জনের দল তৈরি হয়েছে

• আগামী ২ মাস ধরে রাজ্য তৃণমূল স্তরের (Grassroot Level) ৩৫০ নেতা দশ দিন করে প্রতিটি অঞ্চলে রাত্রিযাপন করবেন। মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা যাতে নেত্রীর কাছে পৌঁছয় , তার ব্যবস্থা করবেন

• দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচির (Program) জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে ৩৩৪৩টি অঞ্চল। ২ মাসের কর্মসূচিতে এই সমস্ত অঞ্চলের ৯৮ শতাংশেই গিয়ে পৌঁছতে পারবেন দিদির দূতেরা।

• নেতারা চলে আসার পরের দিন থেকে (Next Day) দিদির দূতেরা গিয়ে প্রতি বাড়িতে গিয়ে দেখবেন ,জনগণ সমস্ত সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন কিনা

• প্রতিটি অঞ্চলে গিয়ে দিদির দূতেরা কী কী করবেন , তার তালিকা (List) ধরানো হবে। সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে তাঁদের।

• তবে নির্ধারিত কর্মসূচির পাশাপাশি সারপ্রাইজ ভিজিটও করতে হবে। যাতে এলাকার (Actual) প্রকৃত পরিস্থিতি সম্পর্কে জানা যায়।

• প্রতিটি এলাকার মাহাত্ম্যপূর্ণ স্থান (Spiritual Place) দর্শন করতে হবে।

• রাজনৈতিক স্তরের নেতারা যখন দশ দিনের সফরে যাবেন, তখন সফর শুরু করতে হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান (Cultural Program) করে।

• দিদির দূত অ্যাপের মাধ্যমে প্রত্যেকটি বাড়ি ম্যাপিং করে আলাদা আলাদা প্যারামিটারের সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প, যেমন – শিক্ষাশ্রী, কন্যাশ্রী, ঐক্যশ্রী, স্টুডেন্ট্স ক্রেডিট কার্ড (Students Credit Card) , মানবিক পেনশন, স্বাস্থ্যসাথী, বাংলা আবাস যোজনা, খাদ্য সাথী (Khadya Sathi), লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, যুবশ্রী মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে

• এলাকার মানুষজনকে (Local Public) দিদির সুরক্ষা কবচের ১৫টি প্রকল্পের কথা জানানো, দশ দিনের সফর শেষে দিদির দূতেরা কী কী করবেন, সে ব্যাপারেও অবগত করা।

• এলাকার মানুষের সঙ্গে মধ্যাহ্ণভোজ (Luch) সেরে এর পর জনসংযোগ করতে হবে নির্দিষ্ট বুথে।

• সমাজের প্রভাবীদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলতে হবে, যাতে তাঁরা এলাকার ভাল-মন্দ সম্পর্কে নিজেদের মতামত (Disition) জানাতে পারেন।

• সন্ধ্যায় দলের কর্মীদের (Workers) নিয়ে বৈঠক করবেন রাজ্য স্তরের নেতারা। দিদির দূত হিসাবে যাঁরা কাজ করবেন , তাঁদের কী কী করতে হবে তা বুঝিয়ে দেবেন তাঁরা।

• দিদির দূতদের প্রত্যেককে একটি করে কিট ব্যাগ দেওয়া হবে প্রত্যেক জেলা হেড কোয়ার্টার (District Head Quater) থেকে।

• ওই কিটব্যাগে থাকবে নির্দেশিকা (Notice)। এ ছাড়া দিদির অর্থাৎ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা চিঠি। কিউ আর কোড (QR CODE) থাকবে।

• স্ক্যান (Scan) করলেই দিদির দূত ডাউনলোড (Download) হবে। থাকবে ক্যালেন্ডার।

• নিজের কাজের বাইরে অন্তত ২ ঘণ্টা করে দলকে সময় দিতে হবে।

• ৩০ মিনিট করে প্রত্যেক বাড়িতে কাটাতে হবে দিদির দূতেদের। ধৈর্যচ্যুতি চলবে না।

• ২০২৩ এবং ২০২৪ দু’বছরের ক্যালেন্ডার (Calendar) বাড়িতে বাড়িতে দিতে হবে। থাকবে ব্যান্ড এবং দিদির দূত লেখা ব্যাজ। যে ব্যান্ড (Band) নিজে পরবেন এবং যে বাড়িতে যাচ্ছেন, তাঁদেরও পরাতে পারেন।

• তৃণমূলের (Trinamool Congress) স্বেচ্ছাসেবীরা যাতে দিদির যোগ্য দূত হিসাবে আচরণ করবেন। বিনম্র আচরণ করেন, সে ব্যাপারে দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ। প্রথমে জেলা সদরে সাংবাদিক বৈঠক (Press Conference)। পরে প্রতিটি বিধানসভা (Assembly) কেন্দ্রে সাংবাদিক বৈঠক করতে হবে। এর পাশাপাশিই চলবে দিদির দূতেদের প্রশিক্ষণ শিবির (Camp)।

• তবে সব কাজ শুরুর আগে ৩ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত সবাইকে অবগত করতে হবে জেলার রাজনৈতিক (Political) এবং প্রশাসনিক (Administrative) প্রধানদের।

• প্রত্যেক বুথ থেকে ৫টি করে টিম তৈরি করতে হবে। প্রতিটি টিমে (Every Team) থাকবেন ৪ থেকে ৫ জন। তাঁদের কাজ হবে, মাসে দশ দিন অন্তত ৫টি করে বাড়িতে যাওয়া। বাড়ি ম্যাপ করা থাকবে।

অভিষেক (Abhishek Banerjee) জানিয়েছেন, এই ‘দূত’ বা প্রতিনিধিদের মধ্যে যেমন বাংলায় তৃণমূলের (Trinamool Congress) সাড়ে তিন লক্ষ স্বেচ্ছাসেবী থাকবেন তেমনই থাকবে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন (Mobile Application)।

কর্মসূচিকে তৃণমূলের (Trinamool Congress) ‘কর্মযজ্ঞ’ বলে ঘোষণা করে অভিষেক (Abhishek Banerjee) জানালেন, এটি বাংলার ১০ কোটি মানুষের জন্য ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’। যার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবে ‘দিদির দূত’।

আরও পড়ুন ::

Back to top button