জাতীয়

ডুবন্ত’ পূণ্যভূমিতে ক্ষতিপূরণের ‘লাইফ বোট’! না পেলে হোটেল মালিকদের আত্মহত্যার হুমকি

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

Joshimath Crisis : ডুবন্ত’ পূণ্যভূমিতে ক্ষতিপূরণের ‘লাইফ বোট’! না পেলে হোটেল মালিকদের আত্মহত্যার হুমকি - West Bengal News 24

প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মাশুল দিচ্ছে, দেবভূমি উত্তরাখন্ড (Uttarakhand)। একের পর এক ফাটল বিপর্যয়ে কার্যত ধ্বংসের মুখে যোশীমঠ (Jashi math) সহ একাধিক এলাকা। ধ্বংসের মুখে বিভিন্ন হোটেল।

জোশীমঠে (Jashimath) এখনও খড়কুটো আগলে ভেসে থাকার চেষ্টা চালাচ্ছেন মানুষ। আশা, ‘ডুবন্ত’ পূণ্যভূমিতে ক্ষতিপূরণের ‘লাইফ বোট’ আসবে। তবে এবার হোটেল ভাঙার আগে ক্ষতিপূরণ না পেলে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার (Suicide) হুমকি দুর্ঘটনাগ্রস্ত হোটেল মালিকদের।

পাহাড়ের গায়েই ঝকঝকে পাঁচ তলা (5 Star) হোটেল। নাম ‘মালারি ইন’। সুসময়ে তীর্থযাত্রীর ভিড় লেগে থাকত। কিন্তু এখন বাসের অযোগ্য। আড়াআড়ি চিড় ধরেছে হোটেল-লাগোয়া রাস্তা। পাশেই খাদ। জোশীমঠ বাঁচাতে যে সমস্ত বাড়ি এবং হোটেলকে ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার, মালারি ইন (Malari In) তার মধ্যে অন্যতম।

হোটেল মালিকের নাম ঠাকুর সিংহ রানা (Thakur Singh Rana)। তিনি সপরিবারে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন হোটেল মালারি ইনের সামনে। ঠাকুরের দাবি, এই ক্ষতিপূরণ তিনি শুধু তাঁর নিজের জন্য চাইছেন না, যে সমস্ত হোটেল এবং বাড়ি ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার তাদের সবার তরফেই এই দাবি তাঁর।”

ঠাকুরের পুত্র ফ্রান্সে থাকেন। হোটেল ব্যবসার জন্য জোশীমঠেই (Jashimath) থাকতেন ঠাকুর। হোটেলের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসে ঠাকুর বলেছেন, ‘‘আমার ছেলে ফ্রান্সে থাকে। আমি চাইলে যেখানে ইচ্ছে যেতে পারি। কিন্তু যাব না। প্রশাসনের অবিচার মুখ বুজে মেনে নেব না আমি।’’

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই জোশীমঠের এই হোটেল এবং আরও প্রায় ১০০টি বসতবাড়ি ভাঙার কথা ছিল প্রশাসনের। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের (Local Public) বিক্ষোভের জেরে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়। প্রত্যেকেরই দাবি ছিল, বাড়ি ভাঙার পর তাঁদের কী হবে, কোথায় থাকবেন তাঁরা, তা স্পষ্ট করে জানাতে হবে প্রশাসনকে। ক্ষতিপূরণের কথাও ঘোষণা করতে হবে। কিন্তু সরকারকে জানাতে হবে তারা কতটা ক্ষতিপূরণ দেবে ? তা না হলে আমৃত্যু এখানেই বসে থাকব আমরা।

আরও পড়ুন ::

Back to top button