জাতীয়

১২০ নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ‘জলেবি বাবার’ ১৪ বছরের জেল

১২০ নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ‘জলেবি বাবার’ ১৪ বছরের জেল
জলেবি বাবা ওরফে অমরবীর ওরফে অমরপুরী ছবি সংগৃহীত

ধর্মের আড়ালে অন্যায় চালিয়ে যাওয়ার তালিকায় নতুন সংযোজন ‘জলেবি বাবা’। এক সময় পেট চালাতেন জিলাপি বিক্রি করে। হঠাৎ নিজেকে ধর্মগুরু দাবি করে বসেন তিনি। আর সেই স্বঘোষিত গুরুর কীর্তিতে সবারই চোখ চড়কগাছ।

জানা গেছে, শতাধিক নারীকে মাদকাচ্ছন্ন করে ধর্ষণ করেছেন তিনি। সেই ধর্ষণের ভিডিও করেছেন, যা দেখিয়ে নির্যাতিতদের ব্ল্যাকমেইলও করতেন ‘জালেবি বাবা’। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ধর্মের আড়ালে গা ঢাকা দিতে পারেননি। সম্প্রতি আদালতের রায়ে জায়গা হয়েছে কারাগারেই।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ৬৩ বছরের জালেবি বাবার আসল নাম অমরবীর ওরফে অমরপুরী। পাঞ্জাবের মানসা গ্রামের বাসিন্দা এই ব্যক্তির স্ত্রী মারা গেছেন, তবে ছয় সন্তান রয়েছে।

২৩ বছর আগে মানসা থেকে হরিয়ানার ফতেহাবাদের তোহানা গ্রামে চলে আসেন অমরপুরী। সেখানে জিলাপি বিক্রি করতেন তিনি। এ সূত্রেই এক তান্ত্রিকের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। বছর কয়েকের জন্য গ্রাম থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিলেন অমরপুরী। ফের গ্রামে ফিরে নিজেকে ‘গুরু’ বলে দাবি করেন। তিনি ঘোষণা করেন, অলৌকিক শক্তি রয়েছে তার। সে কথায় বিশ্বাস করেই তার মন্দিরে ভক্তদের আনাগোনা বাড়তে থাকে। ‘জলেবি বাবা’ নামেই পরিচিত হয়ে যান এই ব্যক্তি। এমনকি অন্য শহর বা রাজ্য থেকেও ভক্তরা এখানে আসতেন।

অভিযোগ উঠেছে, এই জনপ্রিয়তার সুযোগ নিয়ে নারী ভক্তদের সঙ্গে ‘অশ্লীল আচরণ’ করতেন স্বঘোষিত ওই ধর্মগুরু। ২০১৮ সালে এক নারী অভিযোগ করেন, মন্দিরের ভেতর তাকে ধর্ষণ করেছেন ‘জলেবি বাবা’। অভিযোগের পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করলেও জামিন পেতে সমস্যা হয়নি।

২০১৯ সালে ফের একটি ধর্ষণের ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। ওই মন্দিরে তল্লাশি চালিয়ে অপরাধের এমন নানা প্রমাণ পায় পুলিশ। আর তার ভিত্তিতেই ওই গুরুকে আটক করা হয়। পরে দেখা যায়, নিজের মোবাইলেই অন্তত ১২০টি ভিডিও করেছিলেন ওই স্বঘোষিত ধর্মগুরু। আর সেই ভিডিও দেখিয়েই নির্যাতিতদের ব্ল্যাকমেইল করে ফের ধর্ষণ করতেন তিনি।

ধর্ষণের ঘটনায় আগেই দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল ‘জলেবি বাবা’ ওরফে অমরবীর ওরফে অমরপুরীকে। এবার তাকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিলেন ফতেহাবাদের আদালত।

আরও পড়ুন ::

Back to top button