রাজ্য

কর আদায় করবেন নাকি পুকুর মূল্যায়ন? মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশে নাজেহাল পুর কর্মীরা

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

কর আদায় করবেন নাকি পুকুর মূল্যায়ন? মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশে নাজেহাল পুর কর্মীরা

শহরের সমস্ত পুকুর ও জলাশয়কে মূল্যায়নের আওতায় এনে পুরসভার ওয়েবসাইটের তালিকায় তুলতে অনেক নির্দেশ দিয়েছিলেন মেয়র। ৩০ ডিসেম্বর ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।

পুরসভার মূল্যায়ন বিভাগ সূত্রের খবর, ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে ফিরহাদ ওই বিভাগকে এক হাত নেওয়ার পরে বিশেষ কমিশনার (কর ও রাজস্ব) সোমনাথ দে (Somnath Dey) গোটা বিভাগের কর্মী-আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে একটি নির্দেশিকা জারি করে বলেছিলেন, খুব দ্রুত কলকাতা পুরসভা এলাকার সমস্ত বড় পুকুরের মূল্যায়নের কাজ শেষ করে ফেলতে হবে। সেই সঙ্গে চলতি মাসের মধ্যে শহরের সমস্ত ছোট-বড় জলাশয়ের মূল্যায়ন করে ফেলতে হবে।

সম্পত্তিকর (Propaty Tax) আদায় করাটাই পুরসভার মূল্যায়ন (অ্যাসেসমেন্ট) বিভাগের প্রধান কাজ। চলতি অর্থবর্ষ শেষ হতে আর আড়াই মাস বাকি। এই সময়ে সম্পত্তিকর আদায়ের উপরেই বেশি জোর দেওয়া হয়।

ঠাকুরপুকুরের (Thakurpukur) একটি ঐতিহ্যমণ্ডিত পুকুর ভরাট হয়ে যাচ্ছে বলে খবর পান মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। পুরসভার খাতায় ওই পুকুরের নাম না থাকায় ক্ষুব্ধ মেয়র বলেন, ‘‘অ্যাসেসমেন্ট বিভাগ খুব ঢিলেঢালা ভাবে কাজ করছে। আমি দু’-তিন দিন সময় দেব। তারপর কাজ না হলে পুরো বিভাগকে শো-কজ করব।’’

মেয়রের হুঁশিয়ারি, ‘‘যাঁরা কাজ করবেন না, তাঁরা পুরসভায় কাজ করতে পারবেন না। হয় তাঁরা থাকবেন , না হয় আমি থাকব। আসি যাই , মাইনে পাই— এই মনোভাব নিয়ে কাজ করা চলবে না। পুরকর্মীরা মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ। তাঁরা মানুষের করের টাকায় বেতন পান।’’

যদিও গত ডিসেম্বরের শেষে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশের পরে পুকুর পরিদর্শনের উপরেই বেশি করে জোর দিচ্ছেন ওই বিভাগের কর্মী ও আধিকারিকেরা। পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation) সূত্রের খবর , শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ , মূল্যায়ন বিভাগের বিভিন্ন ইউনিটে পুকুর পরিদর্শনের উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। কোথাও আবার পুকুরের মালিককে খুঁজে না পাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন বিভাগের আধিকারিকেরা। সব মিলিয়ে অর্থবর্ষের শেষ লগ্নেপুকুর নিয়েই হিমশিম খাচ্ছে পুর মূল্যায়ন বিভাগ।

আরও পড়ুন ::

Back to top button