স্বাধীনতার পর থেকে ভারতীয় ডাক দেশজুড়ে বিভিন্ন সেবা প্রদানে অগ্রণী হয় । ১৯৫৯ সালের ভারতীয় ডাক বিভাগ “Service before Self”কে নিজের আদর্শ বাক্য হিসাবে গ্রহণ করে । স্বাধীনতার পরবর্তী সময়কালে ভারতীয় ডাক বিভাগ আধুনিকীকরণে ব্যাপক গুরুত্ব আরোপ করে আসছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে পোস্ট অফিস কথাটি মানুষের কাছে কাছে একটি ভরসার জায়গা।আজ এই পোস্ট অফিসের কর্মীদের নিয়ে একটি বিরাট মেগা ডাক মেলার আয়োজন করা হয় বর্ধমান ডিভিশন পোস্ট অফিসের তরফ থেকে।এই দিন মেলায় মঞ্চ আলোকিত করতে উপস্থিত ছিলেন ডিরেক্টর অফ পোস্টাল সার্ভিস (সাউথ বেঙ্গল রিজিয়ন) মাননীয় অশোক পাল মহাশয়, উপস্থিত ছিলেন এস.এস .পি বর্ধমান তাপস মালিক মহাশয়, সিনিয়র পোস্ট মাস্টার বর্ধমান ডিভিশন ডি.মুর্মু এবং আরো বিশিষ্ট পদাধিকারীগন।
এই মেলার আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল পোস্ট অফিসের নতুন কর্মসূচি ‘একদিন মে এক ক্রোড় ‘। এছাড়াও সম্মানিত করা হয় বিভিন্ন স্কিমে কৃতিত্ব অর্জনকারী কর্মীদের। ডিরেক্টর অফ পোস্টাল সার্ভিস মাননীয় অশোক পাল বলেন -পোস্ট অফিস মানুষের কাছে সবসময় সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান।
ভবিষ্যতে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে আরো বিভিন্ন পরিষেবা মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে।প্রতিটি মানুষ যাতে পোস্ট অফিসে আসেন সেই বিষয় বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে, তিনি আরও বলেন, পোস্ট অফিসের গ্ৰামীন এলাকায় যে আর .পি .এল.আই. স্কিম আছে সেটি সাধারণ মানুষের কাছে সঠিক ভাবে পৌঁছে দেওয়ার জন্য তিনি প্রত্যেকটি ব্রাঞ্চ অফিসকে ধন্যবাদ জানান।এস.এস.পি তাপস মালিক বলেন -গ্ৰামীণ ডাকঘর গুলির নেটওয়ার্ক সমস্যা সমাধানের জন্য যথা সম্ভব চেষ্টা চালানো হচ্ছে এবং আশা করা যায় খুব দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে।
এই দিন প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন ডিরেক্টর অফ পোস্টাল সার্ভিস মাননীয় অশোক পাল মহাশয়।
‘রানার ছুটেছে তাই ঝুম ঝুম ঘন্টা বাজছে রাতে
রানার চলেছে খবরের বোঝা হাতে,
রানার রানার চলেছে,রানার!’.
সত্যি বাস্তবে কত লক্ষ লক্ষ রানার এই ভাবেই ছুটে চলেছে আমাদের আশেপাশে এবং পৌঁছে দিচ্ছে আমাদের কত প্রয়োজনীয় চিঠিপত্র ।আসলে কল্পনার এই রানার হলেন বাস্তবের ডাককর্মচারীরা যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য আমরা নিজেদের ঘরে বসে অনেক সুযোগ সুবিধা পাচ্ছি এমনকি কোভিড এর ভয়ংকর প্রকোপও তাদের দমাতে পারেনি। কুর্ণিশ জানাই সকল ডাক বিভাগের কর্মীদের।