এর আগে তাঁকে চা বানাতে দেখা গিয়েছে। ভাজতে দেখা গিয়েছে চপ, ফুলুরি। এমনকি পাহাড়ে গিয়ে বানিয়েছেন মোমোও। তবে সোমবার প্রতিবেশী রাজ্য ত্রিপুরায় গিয়ে মমতা (Mamata Banerjee) বেললেন শিঙাড়া ভাজার জন্য ময়দার লেচি। পাশের দোকানে গিয়ে সাজলেন পানও। বেলন-চাকিতে ময়দার লেচি বেলছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তারপর ছুরি দিয়ে তা মাঝখান থেকে দু’ভাগ। ব্যস। এ বার শিঙাড়ার পুর ভরে কড়াইতে চালান করে দিলেই হল! এমন ভঙ্গিই ফুটে উঠল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) অভিব্যক্তিতে।
এ রাজ্যের জেলা সফর হোক বা ভিন রাজ্যে রাজনৈতিক সফর – মমতা ,(Mamata Banerjee) যেখানেই গিয়েছেন , সেখানেই দেখা গিয়েছে জনসংযোগের অন্য রকম ধরন। স্থানীয় দোকানে ঢুকে চা-চপ-মোমো বানাতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ত্রিপুরা (Tripura) সফরে তার ব্যতিক্রম হল না। সোমবার আগরতলার (Agartala) একটি দোকানে ঢুকে তিনি শিঙাড়ার জন্য লেচিও বেললেন।
অন্য একটি দোকানে ঢুকে সাজলেন পান। সোমবার উদয়পুরে গিয়ে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দেন মমতা (Mamata Banerjee)। বিকেলে অভিষেককে (Abhishek Banerjee) সঙ্গে নিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার আগরতলায় ‘রোড শো’ করতে পারেন মমতা। রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে থেকে শুরু করে শহর পরিক্রমা করে আবার সেখানেই ফিরে সভা করার কথা তাঁর। সোমবার আগরতলা বিমানবন্দরে নেমে অবশ্য মমতা (Mamata Banerjee) জানিয়েছিলেন, ত্রিপুরাকে তিনি আলাদা ভাবে দেখেন না। জনসংযোগের সময়ও তা-ই মেনে চললেন।
আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরায় ভোট। রবিবার সেখানে নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করেছে তৃণমূল (Trinamool Congress)। তারই এক দিন পর সেখানে গিয়েছেন মমতা। ওই ইস্তাহারে ‘সবুজসাথী’, ‘স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড’-এর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তৃণমূল। চাকরি হারানো ১০ হাজার ৩২৩ জন শিক্ষককে আর্থিক সহায়তা, বর্ষীয়ান নাগরিকদের জন্য ‘দুয়ারে দু’হাজার টাকা’ পৌঁছে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
যদিও তৃণমূলকে (Trinamool Congress) ‘পরিযায়ী পাখি’ বলে কটাক্ষ করেছেন সেখানকার বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা (Manik Saha)। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, মানিকের (Manik Saha) ওই অভিযোগের জবাব দিতেই সোমবার আগরতলার পথে জনসংযোগ সারলেন মমতা (Mamata Banerjee)। তাঁকে ঘিরে ছিলেন বহু স্থানীয় মানুষ।
এর আগে ২০২২ সালের মার্চে মমতা (Mamata Banerjee) গিয়েছিলেন দার্জিলিঙে। সেখানে স্থানীয় একটি দোকানে ঢুকে তৈরি করেছিলেন মোমো। গত বছরের নভেম্বরে পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Medinipur) বেলপাহাড়ির কর্মসূচিতে গিয়ে শিলদার কাছে গাড়ি থেকে আচমকাই নেমে বিক্রি করেছিলেন চপ। এ বারও নিজস্ব সেই ভঙ্গিতেই ত্রিপুরায় গিয়ে জনসংযোগ সারলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister)।