বালিখাদান নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যসরকার তাদের গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। এবং সেই গাইডলাইনের কপি পাঠানো হয়েছে প্রত্যেক জেলাশাসকদের। কিন্তু এই বালিখাদানকে ঘিরেই গড়ে উঠেছে বিভিন্ন বেআইনি ব্যবসা যেগুলি কার্যত প্রশাসনের ব্যর্থতাকেই সামনে আনছে।
দামোদর নদের উপর গড়ে উঠেছে প্রচুর বালিখাদান এগুলির মধ্যে রয়েছে বৈধ এবং অবৈধ উভয় খাদান। বৈধ বালিখাদানগুলি যেমন চলছে তেমনি বিভিন্ন প্রভাবশালীদের মদতে গড়ে ওঠা অবৈধ খাদানগুলিও চলছে বুক ফুলিয়ে।
সরকারি কর ফাঁকি দিয়ে রাতের অন্ধকারে রমরমিয়ে ছুটছে বালির লড়ি।
কিছুদিন আগেই জামালপুরের বেরুগ্ৰাম অঞ্চলে বেআইনি বালি পাচার চলে বলে অভিযোগ তোলেন এলাকা বাসি ।
তারা বিক্ষোভে শামিল হন তাদের অভিযোগ যত রাত বাড়ে তত বালিবোঝাই লড়ি গ্ৰামের ভেতর দিয়ে যেতে শুরু করে। প্রতিদিন প্রায় শয়ে শয়ে বালির লড়ি গ্ৰামের ভেতর দিয়ে সারারাত ধরে বালি বোঝাই করে চলতে থাকে। এলাকা বাসি আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এইভাবে গ্ৰামের ভিতর দিয়ে বালির লড়ি যাতায়াত করলে যেকোনো দিন কোনো বড় দূঘটনা ঘটতে পারে। এলাকা বাসিরা আরও অভিযোগ তোলেন প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে প্রতিদিন এই ভাবেই শয়ে শয়ে বালি লড়ি বেরিয়ে যায়।
আজ এই বালি বোঝাই ওভার লোডের গাড়ি উল্টে আবার শিরোনামে সেই বেরুগ্ৰাম অঞ্চল।বালি বোঝাই ওভার লোডের গাড়ি তীব্রবেগে বেরুগ্ৰাম অঞ্চলের বলরামপুর এলাকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এলাকা বাসির অভিযোগ এই বিপদের আশঙ্কায় তারা আজ বাড়ি থেকে বেরোতেই ভয় পায়। সারারাত এইভাবেই ওভার লোডের গাড়ি যাতায়াতা করে।
এখন দেখার প্রশাসন কি ব্যবস্থা নেয়। যেখানে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী এই বেআইনি বালি খাদানের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন সেখানে কি ভাবে বেআইনি ভাবে সারারাত ওভার লোডের লড়ি গ্ৰামের ভেতর দিয়ে সারারাত বালি বোঝাই করে চলতে থাকছে। তাহলে কি এর মধ্যে রয়েছে কোনো প্রভাবশালীর নিয়ন্ত্রন ? নাকি সত্যি প্রশাসনের নাগাল এরিয়ে চলছে বালি পাচার।যদি সত্যিই সেটা হয় সেটা অবশ্যই প্রশাসনের ব্যর্থতার পরিচয় নয় কি? উঠছে প্রশ্ন।