তুরস্ক এবং সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারির মারাত্মক ভূমিকম্পের পর থেকে মৃতের সংখ্যাটা ছাড়িয়েছে প্রায় ২৪০০০ এরও তম বেশি। এর মধ্যে সবথেকে দুর্ভাগ্যজনক, ফুটবল টুর্নামেন্টের জন্য তুরস্কে আসা সাইপ্রিয়েটের ১১ থেকে ১৪ বছর বয়সি ১৯ জন শিশুর মৃত্যু।
ভয়াবহ ভূমিকম্পের ফলে তাদের হোটেলটি চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায়। ১০ জনের মৃত্যু দেহ সাইপ্রাসে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তুরস্কের সংবাদ মাধ্যম থেকে পাওয়া সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী ওই গ্রুপের মধ্যে ১৯ জনের যার মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১৫ জন, নিশ্চিত মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ক্রমাগত উদ্ধারকার্য চালিয়ে যাচ্ছে।
তুরস্কের সরকার ভূমিকম্পের ফলে হতাহতদের জন্য গরম খাবার, তাঁবু এবং প্রচুর কম্বল বিলি করলেও এখনো পর্যন্ত অনেককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। গত ১০০ বছরের মধ্যে তুরস্কের এই ভয়াবহ বিপর্যয়ে তুরস্কের সরকার সর্বতোভাবে সমাধান করার চেষ্টা করলেও সাধারণ মানুষের ৫ দিনের শোক এবং যন্ত্রনা ধীরে ধীরে ক্রোধে পরিণত হচ্ছে।
৭.৪ মাত্রার এই তীব্র ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ার অসংখ্য মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। সূত্র মারফত জানা গেছে দেশের প্রায় ১২,১৪১টি বিল্ডিং সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। ১৯৩৯ সালে ঘটা ভূমিকম্পের পর এটিই একমাত্র সর্বোচ্চ মাত্রার ভূমিকম্প। গত সপ্তাহের পর রাষ্ট্রসংঘ সিরিয়ার ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকার জন্য আরো ২৫ মিলিয়ন অর্থ সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে গত সপ্তাহে রাষ্ট্রসংঘ উদ্ধার কার্যের জন্য সিরিয়া এবং তুরস্ক উভয়কেই ২৫ মিলিয়ন অর্থ সাহায্য করেছে। অন্যদিকে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে অপারেশন “দোস্ত” এর অধীন ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকায় উষুধ, ডায়াগনস্টিক এব্ং সুরক্ষা সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী ইতিমধ্যে “অপারেশন দোস্ত” এর অধীনে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের জন্য এটি ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন করছে।