রাজ্য

সুকান্তের ‘আনন্দ’ সাক্ষাতের পর রাজ্যপালের প্রধানসচিব পদে অব‌্যাহতি নন্দিনী চক্রবর্তীকে, জল্পনা তুঙ্গে

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

সুকান্তের 'আনন্দ' সাক্ষাতের পর রাজ্যপালের প্রধানসচিব পদে অব‌্যাহতি নন্দিনী চক্রবর্তীকে, জল্পনা তুঙ্গে

সি ভি আনন্দ বোসের (C V Ananda Bose) প্রধান সচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকে (Nandini Chakraborty) সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে রবিবার রাতে আচমকাই খবর ছড়ায়। অসমর্থিত সূত্রে খবর, রাজ‌্যপালের ইচ্ছাতেই তাঁর সচিবকে সরানো হচ্ছে। যদিও রাজ‌্যপাল এখন দিল্লিতে। রাজভবন সূত্রে খবর, সোমবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে আনন্দের। তার আগের রাতেই নন্দিনীকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য রাজ্যপাল নবান্নকে জানিয়ে দিয়েছেন। তবে এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক ভাবে রাজভবন বা নবান্নের তরফে এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

নন্দিনীকে অব‌্যাহতি দিতে হলে রাজ্যের মুখ‌্যসচিবকে নির্দেশিকা জারি করতে হবে। কিন্তু তার আগে সেই মর্মে রাজ‌্যপালের অনুমতি বা নির্দেশ মুখ‌্যসচিবের কাছে পৌঁছনো প্রয়োজন। রবিবার রাত পর্যন্ত তেমন কোনও নির্দেশ মুখ‌্যসচিব পাননি বলে জানা গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রবিবার রাতে সংবাদমাধ‌্যমে চর্চা তুঙ্গে উঠলেও খোদ মুখ‌্যসচিব এবং খবরের কেন্দ্রে থাকা রাজ‌্যপালের প্রধান সচিব, কারও-ই এই বিষয়ে কিছু জানা নেই। আনন্দ রাজভবনে আসার পর থেকেই তাঁর সঙ্গে শাসক তৃণমূলের ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ ওঠে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, এই ঘনিষ্ঠতার পিছনে নন্দিনীর ভূমিকা রয়েছে। এর পর থেকেই সরব হয় রাজ্য বিজেপি।

গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, এই বিষয়ে খোঁজ নেয় দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও। রাজ্যপালের শপথ, সরস্বতী পুজোর দিনে ‘হাতেখড়ি’, সেন্ট জ়েভিয়ার্স কলেজের অনুষ্ঠান থেকে বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনে ভাষণ – এ সবই নিয়ে নানা অভিযোগ তোলে বিজেপি। মূলত সরব হন শুভেন্দু। শনিবার রাজভবনে যান সুকান্ত। ঘণ্টা দু’য়েক বৈঠক কথা বলেন আনন্দের সঙ্গে। সুকান্ত রাজভবন থেকে বেরিয়ে যে মন্তব্য করেন তাতেই বোঝা গিয়েছিল, রাজভবনের মনোভাবে কিছু বদল এসেছে। এর পরে শনিবার সন্ধ্যাতেই রাজভবনের পক্ষে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে এবং রাজ্যপালের পরবর্তী ভূমিকা নিয়ে কড়া বিবৃতি দেওয়া হয়। তাতেই স্পষ্ট হয়ে যায় আনন্দ পথ বদলাচ্ছেন। নন্দিনীর অপসারণ তারই পরিনতি বলে মনে করা হচ্ছে।

এই বিষয়ে এদিন রাতেই তৃণমূলের রাজ‌্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষকে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি ফোন ধরেননি। পরে কুণাল ঘোষ টুইট করে জানান, “যে বিষয়টি নিয়ে রাতে ফোনে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইছেন, জবাব : এই বিষয়ে কোনও খবর আমাদের কাছে নেই। রাজভবন থেকেও কোনও বার্তা নেই। ফলে প্রতিক্রিয়ার প্রশ্ন নেই। হয় এটি ভিত্তিহীন রটনা। অন্যথায় দিল্লি থেকে বিজেপির কোনও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, যেটি আগামিকাল বোঝা যাবে। তাই এখন কিছু বলার নেই।”

আরও পড়ুন ::

Back to top button