শিক্ষা

কলকাতা সহ রাজ্যের ন’টি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্যহীন, রিপোর্ট তলব উচ্চশিক্ষা দপ্তরের

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

কলকাতা সহ রাজ্যের ন’টি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্যহীন, রিপোর্ট তলব উচ্চশিক্ষা দপ্তরের

কলকাতা (University Of Calcutta) , উত্তরবঙ্গ (University Of North Bengal) সহ রাজ্যের ন’টি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নেই। গত ৯ ফেব্রুয়ারি সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে চিঠি পাঠানো হয় বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়ে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (University Of Calcutta) ছাড়া স্থায়ী উপাচার্য না থাকার সমস্যার মধ্যে রয়েছে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়, সাধু রামচাদ মুর্মু ঝাড়গ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ব বাংলা বিশ্ববিদ্যালয়, হরিচাঁদ গুরুচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয়, মহাত্মা গাঁধী বিশ্ববিদ্যালয়।

অস্থায়ী উপাচার্যদের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় (University Of North Bengal) , আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের (Alipurduar University) মতো প্রতিষ্ঠান এখন উপাচার্যহীন। বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উপাচার্য না থাকায় সমস্যা সংক্রান্ত রিপোর্ট ইতিমধ্যে উচ্চ শিক্ষা দফতরে পাঠিয়ে দিয়েছেন। উচ্চ শিক্ষা দফতর থেকে জানানো হয়েছে, উপাচার্যপদ ফাঁকা হওয়ার আগেই দফতর থেকে রাজভবনে জানানো হয়েছে। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালের (University Of North Bengal) স্থায়ী উপাচার্য ঠিক করতে সার্চ কমিটির মনোনীত প্রার্থীদের সঙ্গে আচার্য তথা রাজ্যপাল কথাও বলেছেন। কিন্তু আচার্যের দফতর থেকে কোনও সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের (University Of North Bengal) যুগ্ম রেজিস্ট্রার স্বপন রক্ষিত (Swapan Rakkhit) বলেন, ‘‘আমরা গত শুক্রবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় এবং হিল ইউনিভার্সিটির (Hill University) সমস্যা জানিয়েছি।’’ রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে থাকা জয়দীপ রায় (Joydeep Roy)। কোনও আধিকারিক নিয়োগ না হওয়ায় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার এবং অন্যান্য আধিকারিক অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে হিল ইউনিভার্সিটির কাজ শুরু থেকে সামলাচ্ছেন গত দেড় বছর ধরে। কর্তৃপক্ষ জানান, হিল ইউনিভার্সিটি (Hill University) রাজ্যের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে পরিকাঠামোর অভাবে ‘অফলাইন’ পঠনপাঠন চালু করা যায়নি। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি চালুর কথা থাকলেও উপাচার্য না থাকায় তা করা যাচ্ছে না।

উচ্চ শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘ন’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশই তাদের রিপোর্ট দিয়েছে। বিষয়টি শিক্ষা দফতর থেকে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর (Harikrishna Dwibedi) কাছে যাবে।’’ নবান্নের (Nabanna) একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর দফতর (Chief Minister Office) থেকেও বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তাই রিপোর্ট মুখ্যসচিবের কাছে পাঠানো হচ্ছে।

রাজ্যের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যহীন অবস্থায়। উচ্চ শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে , উপাচার্য না থাকায় করা যাচ্ছে না বহু জরুরি বৈঠক এবং নেওয়া যাচ্ছে না গুরুত্বপূর্ণ বহু সিদ্ধান্ত। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী রেজিস্ট্রারের মেয়াদ ফুরবে এ মাসেই। ফিনান্স অফিসার ২৮ ফেব্রুয়ারি অবসর নেবেন। উপাচার্য না থাকায় সেই দায়িত্ব কাউকে দেওয়াও যাবে না। তাতে অর্থ সংক্রান্ত লেনদেন বন্ধ হয়ে পড়বে।

প্রায় এগারোশো শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর বেতন আটকে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদ ছাড়া আর কোনও পদ তৈরি করে নিয়োগ হয়নি এবং বিভিন্ন কলেজের শিক্ষকদের অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে কাজ চলছে। উপাচার্য না থাকায় পরীক্ষার ফল প্রকাশও আটকে যাচ্ছে। এই অবস্থা দীর্ঘায়িত হলে জটিলতা আরও বাড়ার আশঙ্কা।

আরও পড়ুন ::

Back to top button