বর্ধমান

ভুয়ো কলসেন্টার চালিয়ে মোবাইলের টাওয়ার বসানোর নাম করে প্রতারণা, জামালপুর পুলিশের পরিকল্পনায় গ্ৰেফতার মা এবং ছেলে

দীপন চ্যাটার্জী

ভুয়ো কলসেন্টার চালিয়ে মোবাইলের টাওয়ার বসানোর নাম করে প্রতারণা, জামালপুর পুলিশের পরিকল্পনায় গ্ৰেফতার মা এবং ছেলে

বর্তমানে ‘প্রতারণা ‘শব্দটি আমাদের কাছে বহু প্রচলিত।শব্দটি শুনলেই হয়তো চোখের সামনে ভেসে ওঠে শিক্ষক নিয়োগ কিংবা এম.বি.বি.এস কোর্স কিংবা নার্সিং কোর্সে ভর্তি ইত্যাদি অনিয়ম। কিন্তু এই সবকিছুকে পিছনে ফেলে শিরোনামে উঠে এল ভুয়ো কলসেন্টার চালিয়ে টাওয়ার বসানোর নাম করে টাকা নেওয়ার প্রতারণা চক্রের।

মোবাইল ফোনের টাওয়ার বসানোর টোপ দিয়ে নানা ভাবে মানুষজনকে আর্থিক ভাবে প্রতারিত করার চক্র চালাচ্ছিল। তবে এক প্রতারিত ব্যক্তির দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ তদন্তে নামতেই ফাঁস হয়ে গিয়েছে মা ও ছেলের প্রতারণার কর্মকাণ্ড। যা পুলিশ কর্তাদের হতবাক করে তুলেছে।

প্রতারক মা ও ছেলের নাম বাবলি চক্রবর্তী ও শুভজিত্‍ চক্রবর্তী। উত্তর ২৪ পরগণার বারাসতের শান্তিকুঞ্জ আবাসনে তারা থাকতেন। বর্তমানে তারা উত্তর ২৪ পরগণার মধ্যমগ্রামে থাকেন। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার বিষ্ণুবাটি গ্রাম নিবাসী প্রতারিত গৌতম দাসের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মধ্যমগ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।

ভুয়ো কলসেন্টার চালিয়ে মোবাইলের টাওয়ার বসানোর নাম করে প্রতারণা, জামালপুর পুলিশের পরিকল্পনায় গ্ৰেফতার মা এবং ছেলে

পরদিন তাদের বর্ধমান আদালতে পেশ করে চার দিনের হেফাজতে নেয় জামালপুর থানার পুলিশ। এর পরেই মা ও ছেলেকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করে তাদের প্রতারণার যাবতীয় কর্মকাণ্ড জেনে নিয়ে পুলিশ অভিযানে নামে। প্রতারক মা ও ছেলে মিলে উত্তর ২৪ পরগনার খড়দা থানার সোদপুরের একটি কোম্পানির নাম দিয়ে যে অফিস খুলেছিল সেখানে পুলিশ হানা দেয়।

পুলিশের দাবি সেখান থেকে ১৭টি ল্যাপটপ, ৪ টি ডেক্সটপ, ২ টি হার্ডডিস্ক, ২টি ট্যাব, ৭টি মোবাইল ফোন, ১০টি চার্জার, ৫টি পেনড্রাইভ, ১৫টি সিম স্লট, ১টি স্ক্যানার ও ৫টি সিডি পাওয়া গিয়েছে। সেগুলি পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। তাদের খোলা সমস্ত অফিস সিল করা হয়েছে।

পুলিশের অনুমান গোটা রাজ্য জুড়েই এই প্রতারকদের জাল বিছানো রয়েছে। তদন্ত চলছে যাতে পুরো চক্রটি ধরা পরে। বর্ধমান দক্ষিণ মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুপ্রভাত চক্রবর্তী বলেন -‘জামালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক রাকেশ সিং এবং তার পুরো টিম পরিকল্পনা করে এই চক্রটিকে ধরেছে’। এদিন তিনি জামালপুর থানার পুরোটিমকে ধন্যবাদ জানান।

আরও পড়ুন ::

Back to top button