৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল তুরস্কের (Terkey) মাটি। তুরস্কে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৯ হাজার ৬০৫। সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার ৫৭৪। তবে তুরস্কে ফের ভূমিকম্প। এবার কম্পনের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৬.৪। ৪৫ হাজারেরও বেশি মৃত্যু হয়েছে এর মধ্যে। কম্পনের (Earthquake) তীব্রতা এতটাই ছিল যে সুদূর সাইপ্রাস দ্বীপেও তা অনুভূত হয়৷ পাশাপাশি, লেবানন, ইরাক, ইজরায়েলের একাংশও কেঁপে ওঠে বলে খবর৷
ভূমিকম্পে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তুরস্কের শহর কাহরামানমারাস৷ আদিয়ামান, মালাটিয়া, দিয়ারবাকির শহরগুলিতেও ক্ষয়ক্ষতির ছবি সামনে এসেছে৷ সীমান্তের কাছে তুরস্কের (Terkey) শহর গাজিয়ানটেপ প্রথম বার প্রবল ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল৷ ৯ ঘণ্টা পরে ফের দ্বিতীয়বার জোরাল কম্পন অনুভূত হয় ওই অঞ্চলে৷ দ্বিতীয়বার কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.৬৷ ক্ষত ভরতে না ভরতেই আবার আঘাত।
পৃথিবীর ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চলগুলির মধ্যে অন্যতম তুরস্ক৷ গত একশো বছরে এই অঞ্চলে এটি অন্যতম ভয়াবহ ভূমিকম্প (Earthquake) বলে দাবি করা হচ্ছে৷ ১৯৯৯ সালে এই তুরস্কেই ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রায় ১৭ হাজার মানুষ প্রাণ হারান৷ তার মধ্যে ইস্তানবুলে ১০০০ মানুষের মৃত্যু হয়৷ ২০২০ সালেও তুরস্কে দু’টি বড় ভূমিকম্পে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়৷
তুরস্ক, সিরিয়ার এই ভূমিকম্পকে গত একশো বছরের মধ্যে এই অঞ্চলের সবথেকে ভয়াবহতম বলে দাবি করা হচ্ছে৷ তার মধ্যে সর্বস্ব হারানো মানুষের সমস্যা বাড়িয়েছে প্রবল ঠান্ডা৷ খোলা আকাশের নীচে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা আর পেটে খিদে নিয়েই দিন গুজরান করতে হচ্ছে গৃহহীন হাজার হাজার মানুষকে৷