ঝাড়গ্রাম

মনের জোরে মাধ্যমিক দিচ্ছে ঝাড়গ্রামের দৃষ্টিহীন পরীক্ষার্থী পূজা মাইতি

স্বপ্নীল মজুমদার

মনের জোরে মাধ্যমিক দিচ্ছে ঝাড়গ্রামের দৃষ্টিহীন পরীক্ষার্থী পূজা মাইতি

মনের জোরেই মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে ঝাড়গ্রাম জেলার বেলিয়াবেড়া ব্লকের আম্বি বিএম গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী পূজা মাইতি। বেলিয়াবেড়া ব্লকের কুজড়া-বায়াডাঙ্গর গ্রামে পূজার বাড়ি। বেলিয়াবেড়া কেসিএম হাইস্কুলের পরীক্ষাকেন্দ্রে পূজা পরীক্ষা দিচ্ছে রাইটারের সাহায্য নিয়ে।

বেলিয়াবেড়া স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে পূজার রাইটার হওয়ার অনুমতি দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। দরিদ্র পরিবারের মেয়ে পূজার বাবা কৃষ্ণকান্ত মাইতির মৃত্যু হয় ২০১৪ সালে। তাঁর দু’টি কিডনি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। পূজার দুই দিদির বিয়ে হয়ে গিয়েছে। মায়ের সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে থাকে পূজা।

পূজার মা সুমিত্রা মাইতি জানালেন, পূজার জন্মগত রেটিনার সমস্যা। চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞদের দেখিয়েও লাভ হয়নি। চশমা পরা অবস্থায় ঝাপসা দেখতে পায়। তবে বই পড়তে বা লিখতে একদমই পারে না। সেই কারণে সুমিত্রা দেবী বই পড়তেন আর শুনে শুনেই পড়া মুখস্থ করত পূজা। এভাবেই শিশুবেলা থেকে পড়াশোনা করে এসেছে সে।

এবার দিচ্ছে জীবনের বড় পরীক্ষা মাধ্যমিক। আম্বি বিএম গার্লস হাইস্কুলের টিচার-ইনচার্জ রিঙ্কু ঘোষাল বলেন, বেলিয়াবেড়া কেসিএম হাইস্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক তথা ওই পরীক্ষা কেন্দ্রের সুপার ভাইজার সুব্রত মহাপাত্রের জন্যই এবার রাইটারের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়েছে।

সুব্রত মহাপাত্র বলেন, পূজাকে পরীক্ষার জন্য প্রতিদিন অতিরিক্ত ৪৫ মিনিট সময় দেওয়া হচ্ছে। পূজার ভাষ্যমতো রাইটার পূজার উত্তরপত্র লিখছে। পূজা বলে, আমি নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই। তাই পড়াশোনাটা চালিয়ে যাব।

আরও পড়ুন ::

Back to top button