রাজ্য সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর এবং অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের যৌথ উদ্যোগে পূর্ব বর্ধমান জেলায় চলছে ‘আপদ মিত্র’ এর প্রশিক্ষণ
দীপন চ্যাটার্জী
দুর্যোগ মোকাবিলায় এবার রাজ্যের প্রতিটি ব্লক ও মহকুমায় তৈরি থাকবে স্বেচ্ছাসেবক। কোনও বিপদের খবর পেলেই দ্রুত পৌঁছে যাবেন ‘আপদ মিত্র’-রা। এই স্বেচ্ছাসবী সংগঠনের লক্ষ্য স্বেচ্ছাসেবকদের এমন দক্ষতা প্রদান করা যা দুর্যোগের পরে তাদের সম্প্রদায়ের তাৎক্ষণিক প্রয়োজনে সাড়া দেওয়ার জন্য তাদের প্রয়োজন হবে যার ফলে তারা বন্যা, আকস্মিক বন্যা এবং শহরের মতো জরুরী পরিস্থিতিতে প্রাথমিক ত্রাণ ও উদ্ধার কাজগুলি গ্রহণ করতে সক্ষম হবে।
বন্যারাজ্যের ২৩টি জেলায় ৭৩০০ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত করার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিচ্ছে প্রশাসন। বিপর্যয় ব্যবস্থাপনার জন্য এনসিসি, এনএসএস, স্কাউট, সিভিল ডিফেন্স ভলেন্টিয়ার, সেনাবাহিনীর প্রাক্তন কর্মীদের নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলেই জানা গিয়েছে। মে মাস থেকে রাজ্যের প্রায় প্রত্যেক জেলায় ‘আপদ মিত্র’ প্রকল্পের আওতায় আবাসিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। প্রতি ব্লক থেকে অন্তত ১০ জন করে প্রতিনিধি থাকবেন। বড় ব্লকের ক্ষেত্রে সেই সংখ্যাটা কিছুটা বাড়বে বলেই জানা গিয়েছে।
আজ পশ্চিমবর্ধমানেও দেখা গেলো জোরকদমে চলছে আপদ মিত্রের প্রশিক্ষণ।পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিপর্যয় মোকাবিলা এবং অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের আধিকারিক তমোজিত্ চক্রবর্তী জানান, জেলার প্রায় ৩০০ জন যুবককে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। রাজ্য সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর এবং অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের যৌথ উদ্যোগে চলছে প্রশিক্ষণ।
দলের সদস্যদের দমকল ও ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের বিশেষজ্ঞেরা নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিক তমোজিত্ বলেন, ‘এটি মূলত স্বেচ্ছাশ্রম। এটি কোনও সরকারি চাকরি নয়। তবে কাজ করার সময় দলের সদস্যেরাসাম্মানিক পাবেন।’
অসামরিক প্রতিরক্ষা ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের এক শীর্ষ অধিকর্তার মতে, সব থেকে কম সময়ের মধ্যে উদ্ধারকাজ শুরু করে মৃত্যুর হার বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যতটা সম্ভব কম করা যায় তাঁর জন্যই অঞ্চলভিত্তিক প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।