এবার শুভেন্দুর নিশানায় শিল্প। রাজ্যে যে সমস্ত কেন্দ্রীয় সরকারি শিল্প সংস্থা আছে, সেই সমস্ত শিল্প সংস্থাতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোলাবাজির বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আনলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
তাঁর গুরুতর অভিযোগ, ‘‘কেন্দ্রীয় শিল্প সংস্থায় অস্থায়ী সাপ্লাই লেবার নিয়োগের ক্ষেত্রেও তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতারা দেড় থেকে দু’লক্ষ টাকা করে শ্রমিকদের কাছ থেকে তোলা আদায় করছে। চুরি, দুর্নীতি ছাড়া তৃণমূলের (Trinamool Congress) কাছে বিকল্প কোনও পথ নেই।’’
বাম জমানায় জঙ্গি আন্দোলনের নামে সিপিআইএমের শ্রমিক সংগঠন সিটুকে কাঠগড়ায় তুলে শুভেন্দু দাবি, ‘‘বাম জমানায় ৮০ শতাংশ কারখানায় জঙ্গি আন্দোলন করে তালা লাগিয়ে দিয়ে শিল্পকে ধ্বংস করা হয়েছে। আর বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন তৃণমূল (Trinamool Congress) জমানায় নতুন কোনও শিল্প তো আসেই নি। উল্টে বাংলায় সর্বত্র শিল্প শ্মশানে পরিণত হয়েছে।’’
উত্তর প্রদেশ, গুজরাত, মহারাষ্ট্রের তুলনা টেনে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) দাবি করেন যে, ‘‘শুধুমাত্র ছয় লক্ষ কোটি টাকা ঋণের বোঝাই নয়, বাংলা যেখানে নতুন কোনও শিল্প স্থাপন করতে পারেনি, পুরনো শিল্প সংস্থা বন্ধ হয়েছে সেখানে বিজেপি শাসিত অন্যান্য রাজ্যে শিল্পের জোয়ার বইছে। আর বাংলায় কোনও কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকায় দেশের পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে সিংহভাগই বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা পেটের টানে, ৪৫ লক্ষ বেকাররা রুজি রুটির টানে বাংলার বাইরে থাকছেন।’’
শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দাবি, ‘‘বাংলায় ডবল ইঞ্জিন সরকার হলেই শিল্পের পুনরুজজীবন ঘটবে।’’ কল্যাণী শিল্পাঞ্চলে দাঁড়িয়ে এদিনের শ্রমিক সভা থেকে শুভেন্দুর দাবি ও বার্তা , ‘‘সদস্য সংখ্যার বিচারে ভারতীয় মজদুর সংঘ দেশের মধ্যে এক নম্বর শ্রমিক সংগঠন। তাই বাংলাতেও সর্বস্তরের শ্রমিক কর্মচারীরা শিল্পের স্বার্থে BMS শ্রমিক সংগঠনে যুক্ত হয়ে ঐক্যবদ্ধ হন। ধ্বংস নয়, ধর্মঘট নয়, রাষ্ট্র নির্মাণ করাই আমাদের শ্রমিক সংগঠনের মূলমন্ত্র।’’