মোবাইলের সিম কার্ড বিক্রেতা থেকে তৃণমূল যুব নেতা – উল্কার গতিতে উত্থান শান্তনুর
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
মোবাইলের সিম কার্ড বিক্রেতা থেকে তৃণমূল যুব নেতা – উল্কার গতিতে উত্থান শান্তনুর (Shantanu Banerjee)। মোবাইলের সিম কার্ড বিক্রি থেকে শাসকদলের হেভিওয়েট নেতা। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই বাড়ি , গাড়ি একাধিক ফ্ল্যাট ও রেস্তোরাঁর মালিক হয়েছিলেন তিনি।
বর্তমানে হুগলি জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ পদে কর্মরত ছিলেন শান্তনু (Shantanu Banerjee)। শুক্রবার ইডির ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
স্থানীয় সূত্রে খবর , জিরাটের বিজয়কৃষ্ণ কলেজে পড়াশোনা শান্তনুর। সেখানেই হাতেখড়ি রাজনীতিতে। প্রথম জীবনে জিরাট কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (Trianmool Chhatra Parishad) দায়িত্ব পান। তার পর ক্রমশ ব্লকের পাশাপাশি জেলাতেও তৃণমূল ছাত্র নেতা হিসাবে কাজ করতে শুরু করেন।
২০০৫ থেকে জিরাট বাস স্ট্যান্ডের কাছে এনজি ঘোষ মার্কেটে মোবাইলের সিমকার্ড বিক্রি করতো শান্তনু (Shantanu Banerjee)। পরবর্তীতে কসমেটিক্স সামগ্রী বিক্রি করার দোকান চলত সে। শান্তনুর বাবা বিদ্যুৎ দফতরের কর্মী ছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর বিদ্যুৎ দফতরের চাকরি পায় শান্তনু।
রাজনীতির ফাঁকে নাটকও করতেন শান্তনু। সেই সুবাদেই তৃণমূলের (Trinamool Congress) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সঙ্গে তাঁর পরিচয় এবং পরবর্তীতে ঘনিষ্ঠতা।
শান্তনুর (Shantanu Banerjee) পরিচিত মহলের একাংশের দাবি , রাজ্য যুব তৃণমূলের সহ সভাপতি দায়িত্বভার পাওয়ার পর যুব নেতা হিসাবে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া-সহ কয়েকটি জেলার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০১৮ সালে তারকেশ্বর থেকে হুগলি জেলা পরিষদের সদস্য হয়।
ব্যক্তিগত ব্যবসা-বাণিজ্য সুপারফাস্ট গতিতে এগিয়ে চলে শান্তনু। জিরাটে এসটিকেকে রোডের পাশে ‘দ্য স্পুন’ নামে একটি রেস্তোরা রয়েছে তাঁর। চুঁচুড়া, চন্দননগরে বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাটও আছে শান্তনুর বলে খবর সূত্র মারফত।