বর্ধমান

একে ফলন কম, তার উপর আলুর দাম নেই, জাতীয় সড়কের আমড়া মোড়ের কাছে রাস্তায় আলু ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ সারা ভারত কৃষক সভার

দীপন চ্যাটার্জী

একে ফলন কম, তার উপর আলুর দাম নেই, জাতীয় সড়কের আমড়া মোড়ের কাছে রাস্তায় আলু ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ সারা ভারত কৃষক সভার

ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে সরকারের তরফে আলু কেনার দাবি নিয়ে মার্চ মাসে রাজ্যজুড়ে জাতীয় সড়ক ও রাজ্য সড়ক অবরুদ্ধ করার কর্মসূচি ঘোষণা করল পশ্চিমবঙ্গ প্রাদেশিক কৃষকসভা।

ফসলের দাম না পেয়ে কৃষককে আত্মহননের দিকে ঠেলে দিচ্ছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। ফড়েদের দখলে বাজারদর। কৃষকদের অভিযোগ সার, কীটনাশক, বীজে কালোবাজারি হয়েছে। এখন এক বস্তা (৫০কেজি)’র আলুর দর ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা। আলু চাষ করে খরচের অর্ধেক টাকাও উঠবে না। আবারও সর্বস্বান্ত হওয়ার মুখে আলু চাষীরা।

একে । কম দামের কারণে চাষীদের মধ্যে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে। রাজ্যজুড়েই সমস্যার মধ্যে পড়েছেন আলু চাষীরা। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে আন্দোলনে নেমেছে সিপিআইএম-এর কৃষক সংগঠন। রাজ্যের নানা প্রান্তে চলছে আন্দোলন। শনিবার পূর্ব বর্ধমানের ২ নম্বর জাতীয় সড়কের আমড়া মোড়ের কাছে রাস্তায় আলু ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে সারা ভারত কৃষক সভার সদস্যরা।

আন্দোলনকারীদের দাবি, আলুর দাম বাড়াতে হবে। ১০০০ টাকা কুইন্টাল দরে আলু কিনতে হবে সরকারকে। একইসঙ্গে হিমঘরে আলু মজুত করার ক্ষেত্রে চাষীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। ভিন রাজ্যে ও বিদেশে আলু রফতানির বিষয়েও উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকে।

পাশাপাশি হিমঘরে আলু রাখার ক্ষেত্রে বস্তা পিছু ভাড়া কমাতে হবে বলেও দাবি তোলা হয়েছে। এরকমই একগুচ্ছ দাবিতে শনিবার আধ ঘণ্টার বেশি সময় অবরোধ করা হয় জাতীয় সড়ক। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। কৃষক সভার নেতৃত্বের বক্তব্য, ” আলুর দাম নেই।

তাই সরকারের টনক নড়াতেই আমাদের এই আন্দোলন। আমাদের দাবি, হাজার টাকা কুইন্টাল প্রতি আলু কিনতে হবে সরকারকেই। কোনও দালাল মারফত আলু কেনা যাবে না। যতক্ষণ না পর্যন্ত সরকার আমাদের কথা শুনবে, রাজ্যজুড়ে এই আন্দোলন চলবে। কথা না শুনলে আগামীতে আরও দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর আন্দোলন হবে।”

আরও পড়ুন ::

Back to top button