জামালপুর ব্লক মৎস্য দফতরের তরফ থেকে গ্ৰামীন এলাকায় মৎস্য ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হলো মোটরসাইকেল
২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার রাজ্যের মৎস্যজীবীদের সার্বিক উন্নয়নে জোর দিয়েছেন।রাজ্য সরকারের তরফে মৎস্যজীবীদের পেশাদারী সুযোগ সুবিধে প্রদান করা হয়, যেমন – পরিবহণ সুবিধা, বায়মেট্রিক আইডেন্টিটি কার্ড, সমুদ্রে আপতকালীন অ্যালার্ট পদ্ধতি, ইত্যাদি।ছোট মৎস্যচাষিদের জন্যও বার্ধক্য ভাতা আনা হয়েছে। মৎস্যচাষিদের অর্থনৈতিক সহায়তার জন্য বীমা প্রকল্প চালু করা হয়।
আজ পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে যে সমস্ত মৎস্যজীবিরা গ্ৰামে গ্ৰামে ঘুরে ঘুরে মাছ বিক্রি করেন তাদের কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকারের সহায়তায় জামালপুর ব্লক অফিস থেকে ব্লক মৎস্য দপ্তরের পক্ষ থেকে এলাকার ১০ জন মৎস্য ব্যবসায়ীদের হাতে মোটরসাইকেল তুলে দেওয়া হয়।
যার মধ্যে আজ চারজনের হাতে মোটরসাইকেলের চাবি তুলে দেন জামালপুরের বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার, পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মেহেমুদ খান, দপ্তরের আধিকারিক অর্ণব কৈশঠ্যা, মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ সুনীল ধারা, খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সীমন্ত সাঁতরা।
মৎস্য দফতরের আধিকারিক অর্ণব কৈশঠ্যা বলেন, ২০২২ ২৩ অর্থবর্ষে প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনা ও বঙ্গমৎস্য যোজনায় এই মোটর সাইকেল গুলো দেওয়া হলো।
তপশিলি জাতিদের ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ ও সাধারণ জাতিদের ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ ভর্তুকি পাওয়া যাবে বলে তিনি জানান। সমস্ত লেনদেন তাদের নিজস্ব ব্যাঙ্ক একাউন্টের মাধ্যমেই হবে। সাইকেলের পরিবর্তে এরপর থেকে মোটরসাইকেলে ব্যবসা করতে পারবেন বলে, যথেষ্ট খুশি এই মৎস্য ব্যবসায়ীরা। কারণ মোটরসাইকেলে এই ব্যবসা করলে তাদের রোজকার নিশ্চিত ভাবেই বাড়বে।
পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মেহেমুদ খান বলেন, এই মোটরসাইকেল গুলি পাওয়ার ফলে মৎস্য ব্যবসায়ীরা আরো অনেক দূর পর্যন্ত নিজের ব্যবসার এলাকাকে ছড়িয়ে দিতে পারবে। এর ফলে তাদের দৈনিক রোজকার নিশ্চয়ই বাড়বে। এইভাবে মৎস্য ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে ধন্যবাদ জানান।