Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
বর্ধমান

পানীয় জলে মিশছে নর্দমার জল, জলকর দিয়েও মিলছেনা পরিস্রুত পানীয়; ক্ষোভে এলাকাবাসী

পানীয় জলে মিশছে নর্দমার জল, জলকর দিয়েও মিলছেনা পরিস্রুত পানীয়; ক্ষোভে এলাকাবাসী

দিনে মাত্র দুবার দু’ঘণ্টার জন্য জল আসে। সেই জলও যদি বিষের মতো হয়, তবে প্রত্যেকদিনের কাজ করা কীভাবে সম্ভব।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জলে উপর কর না নেওয়ার কথা বলেছিলেন। তাসত্ত্বেও দুর্গাপুর পুরসভা প্রতিমাসে মিটার দেখে জলের জন্য শহরবাসীর থেকে কর সংগ্রহ করে।

দুর্গাপুরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের মামরা বাজার লাগোয়া ‘সিদ্ধেশ্বরী মার্কেট’ এলাকার বাসিন্দাদের।মামরা বাজারের একটি ড্রেনের পাশেই রয়েছে জলের পাইপ লাইন। সেই পাইপ হয়তো কোনো কারণে ফুটো হয়েছে আর সেখান দিয়েই ড্রেনের নোংরা জল ঢুকে পড়ে বিপত্তি বাঁধছে। এমনকী সেখানে কর্মরতদের সমস্যার কথা বললেও বাসিন্দাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে। এই নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।

ট্যাক্স দিয়েও মিলছে না পরিশ্রুত পানীয় জল। তার পরিবর্তে মিলছে নর্দমার দূষিত জল। মারাত্মক অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দুর্গাপুরে। পানীয় জলের পাইপ লাইনে মিশে যাচ্ছে ড্রেনের নোংরা দুর্গন্ধময় জল। দুর্গাপুরের নিউটাউনশিপ থানার মামরা বাজারের সিদ্ধেশ্বরী মার্কেট এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, পুরসভাকে জলের জন্য কর দেওয়া হলেও পানীয় জলের পরিবর্তে মিলছে দূষিত ড্রেনের জল। সেই কারণে বাসিন্দাদের মধ্যে পেট ও চামড়া রোগ দেখা যাচ্ছে।

জল দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দীপঙ্কর লাহা জানান, তিনি নিজে শুক্রবার এলাকায় গিয়েছিলেন। একটি বাড়ি থেকে জলের নমুনা সংগ্রহ করে দেখেছেন, জল ঘোলা। তবে একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, পাইপলাইনের জল পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, তা স্বচ্ছ। দীপঙ্কর বলেন, ‘গত পাঁচ দিন ধরে জল দফতরের কর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁড়াখুঁড়ি করে কোথায় সমস্যা তা খোঁজার চেষ্টা করছেন। আশা করছি, দু’-এক দিনের মধ্যেই সমস্যারসমাধান হবে।’

ওয়ার্ড সভাপতি মাননীয়া যুথিকা কর্মকার বলেন, ‘আমি লিখিত ভাবে বিষয়টি পুরসভায় জানিয়ে এসেছি। এমনকি, পুরসভায় জলের নমুনাও নিয়ে গিয়েছি। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দুর্গন্ধময় জল। কলে জল আসার সময় দুর্গন্ধের চোটে পাশে থাকা যাচ্ছে না।’ তাঁর দাবি, তাঁদের চার জনের পরিবারে প্রতি সপ্তাহে ২০০ টাকার জল কিনে খেতে হচ্ছে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button