Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
বর্ধমান

যক্ষা দিবসে নজির গড়লেন জামালপুরের সুরজ

যক্ষা দিবসে নজির গড়লেন জামালপুরের সুরজ

২৪শে মার্চ বিশ্ব রক্ষা দিবস। যক্ষ্মা রোগের ক্ষতিকর দিক বিশেষ করে স্বাস্থ্য, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিণতি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এ দিবসটি পালিত হয়ে থাকে। রোগের ক্ষতিকর দিক বিশেষ করে স্বাস্থ্য, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিণতি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এ দিবসটি পালিত হয়ে থাকে। ১৮৮২ সালের এ দিনে ড. রবার্ট কোচ যক্ষ্মার জীবাণু আবিষ্কার ও এ রোগ নির্ণয় ও নিরাময়ের পথ উন্মোচন করেন। তাকে স্মরণ করেই এই দিনটিতে যক্ষা দিবস পালিত হয়ে আসছে।

আর এই যক্ষা দিবসেই চমক জামালপুরে। জামালপুরের বাসিন্দা তথা সমাজসেবী সুরজ ব্যানার্জি ১০ জন যক্ষা রোগীর ৬ মাসের চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় দায়ভার গ্রহণ করেন। এছাড়াও জামালপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মী কৃষ্ণা চ্যাটার্জিও এক যক্ষা আক্রান্তের যাবতীয় দায়িত্ব ৬ মাসের জন্য গ্রহণ করেছেন।এই উপলক্ষে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এক ছোট অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ঋত্বিক ঘোষ সহ অন্য চিকিৎসকরা

যক্ষা দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য – ‘নেতৃত্ব চাই যক্ষ্মা নির্মূলে, ইতিহাস গড়ি সবাই মিলে’।

যক্ষার চিকিৎসায় ওষুধের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টিকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন বলেও জানান ব্লক স্বাস্থ্য অধিকারী। আগে যক্ষা হলে রোগীকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার একটা ব্যাপার থাকত। কিন্তু আধুনিক চিকিৎসায় যক্ষ্মা নিয়ে আর সেই ভয় নেই। বরং সঠিক নিয়ম মেনে চললে এই রোগ থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি ঘটে।

যক্ষা রোগ প্রসঙ্গে ঋত্বিক ঘোষ বলেন, যক্ষা রোগীদের এটাই বার্তা দিতে চাই যে তাঁদের ভয় পাওয়ার কোন‌ও দরকার নেই। সম্পূর্ণ বিনা পয়সায় চিকিৎসা হবে। চিকিৎসকদের নির্দেশ সঠিকভাবে মেনে চললে এই রোগ সম্পূর্ণভাবে নিরাময় করা সম্ভব। ওষুধ খেয়ে ৬ মাসের মধ্যে সুস্থ হওয়া যাবে। রোগটা যেহেতু হাঁচি, কাশির মাধ্যমে ছড়ায় তাই বাড়ির কারোর হলে পরিবারের বাকি সদস্যদের সাবধানে থাকতে হবে। রোগীর ভিড়ে যাওয়া চলবে না, সবসময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button