বর্ধমান

আদালতের ভিতর নিজেদের মধ্যে ঝামেলায় লিপ্ত হলেন আইনজীবীরা

আদালতের ভিতর নিজেদের মধ্যে ঝামেলায় লিপ্ত হলেন আইনজীবীরা

ঘটনা শুনলে মনে হবে যেন বাচ্চা ছেলের দল খেলার সময় ঝগড়া করছে বা মারপিট করছে। কিন্তু না আপনিও অবাক হবেন এবার আদালতের মধ্যে নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়ালেন পাবলিক প্রসিকিউটররা । একে অপরের বিরুদ্ধে মারধরের ঘটনায় জড়ালেন পিপি এবং এপিপিরা। মঙ্গলবার এই অপ্রীতিকর ঘটনার সাক্ষী থাকল বর্ধমান আদালত।

এই নিয়ে বর্ধমান আদালতের আবহাওয়া বেশ কিছুদিন ধরেই গরম ছিল। মঙ্গলবার আদালত চত্বরে পিপির বিরুদ্ধে পোস্টারও পড়ে। এপিপিদের অভিযোগ, বর্তমান পিপির ফৌজদারি মামলা সম্পর্কে কোনও অভিজ্ঞতা নেই। উনি এই পদে বসে এজেন্ট নিয়োগ করে বিভিন্ন ভাবে টাকাপয়সা তুলছেন। তাঁদের আরও অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ মামলা জুনিয়র এপিপিদের দেওয়া হচ্ছে ও কম গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলি সিনিয়রদের দিচ্ছেন। এতে বিচার ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই এর বিরুদ্ধে তাঁরা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

পিপিকে সরানোর দাবিতে বর্ধমান জেলা আদালতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। গত শুক্রবারই পিপিকে সরানোর দাবিতে সই করেছিলেন ২৮ জন এপিপি। তাঁরা জানিয়েছেন, দাবি মানা না হলে তাঁরা আর মামলা লড়বেন না। বর্ধমান আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর পদ থেকে সরানোর দাবিতে শুক্রবার জেলার এপিপিরা জেলাশাসক এবং জেলা বিচারকের কাছে ডেপুটেশন দেয়।

এদিন পিপি জেলা আদালতে ঢুকতে গেলে সমস্যা তৈরি হয়। এপিপিদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় পিপির। দু’পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হওয়ার মাঝেই শুরু হয় হাতাহাতি। দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেন। এই ঘটনায় হতবাক বিচারপ্রার্থী এবং তাদের পরিবার পরিজনরা। অবাক হয়ে যান আদালতের কর্মীরাও। প্রকাশ্য আদালতে পিপি এবং এপিপিরদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাকে নজিরবিহীন বলেই তাঁদের দাবি।

তাঁদের আরও দাবি, সরকার ক্ষমতায় এসে নিজমতাবলম্বীদের নিয়োগ করেছিল। পিপি নিজের খেয়াল খুশিমতো চলছেন। টাকা পয়সা নিয়ে মামলাকে প্রভাবিত করার অভিযোগও করেন। তাঁরা আরও দাবি করেন, বর্তমান পিপির নিয়োগও সঠিকভাবে হয়নি।

পিপিকে সরানোর দাবিতে বর্ধমান জেলা আদালতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। গত শুক্রবারই পিপিকে সরানোর দাবিতে সই করেছিলেন ২৮ জন এপিপি। তাঁরা জানিয়েছেন, দাবি মানা না হলে তাঁরা আর মামলা লড়বেন না। বর্ধমান আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর পদ থেকে সরানোর দাবিতে শুক্রবার জেলার এপিপিরা জেলাশাসক এবং জেলা বিচারকের কাছে ডেপুটেশনও জমা দেন।

আরও পড়ুন ::

Back to top button