স্কুলের ১০০ গজের মধ্যে তামাক জাত দ্রব্য না বিক্রি করার অনুরোধ ছাত্রীদের
অল্পবয়সী শিশু ও স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে মাদক সেবনের প্রবণতা দিন দিন ক্রমশই বাড়ছে। শিশু ও পড়ুয়াদের মধ্যে মাদক সেবনের প্রবণতা বৃদ্ধিতে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন হয়ে রাজ্য সরকার নির্দেশ দিয়েছিল স্কুলের ১০০ গজের মধ্যে বিক্রি করা যাবেনা নেশার দ্রব্য।
আজ দেখা গেলো স্কুলের ১০০ গজের মধ্যে প্লিজ বিড়ি, সিগারেট, গুটকার মত তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করবেন না! দোকানদারদের হাতে গোলাপ ফুল তুলে দিয়ে এমনই আব্দার জুড়ছে ওরা। দুর্গাপুরের জেমুয়া ভাদুবালা বিদ্যাপীঠের পড়ুয়ারা স্কুলের চারপাশ নেশা মুক্ত রাখতে এমনই পদক্ষেপ নিয়েছে।
জোর জবরদস্তি নয়, গান্ধিগিরির পথে হেঁটে স্কুলের চারপাশ নেশা মুক্ত রাখতে চাইছে খোদ পড়ুয়ারা। পাশে পেয়েছে শিক্ষক এবং প্রশাসনকে। বিভিন্ন সমীক্ষা থেকে স্পষ্ট, তরুণ প্রজন্ম আগের থেকে অনেক বেশি তামাকজাত দ্রব্যে আসক্ত হয়ে পড়েছে। আজকাল স্কুলে পড়াকালীনই অনেকে ধূমপান করতে শুরু করে। সরকার দাম বাড়িয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না। এর ফলে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা আগের থেকে অনেক বেশি পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতি বদলাতেই এমন অভিনব উদ্যোগ নিল পশ্চিম বর্ধমানের এই স্কুলের পড়ুয়ারা।
এমনিতেও জেমুয়া ভাদুবালা বিদ্যাপীঠের পরিবেশ, তার চর্চা দুর্গাপুরের মত দামি শহরের বহু নামজাদা বেসরকারি স্কুলকেও হার মানিয়ে দেবে। সেই স্কুলের ছাত্ররাই পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণের আশপাশের এলাকা তামাক মুক্ত করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। প্রতিটি দোকানে গিয়ে দোকানদারের হাতে গোলাপ ফুল ধরিয়ে পড়ুয়ারা একটাই অনুরোধ করছে, দয়া করে তামাকজাত কোনও দ্রব্য স্কুলের আশেপাশে বিক্রি করবেন না।
কখনও কোনও ছাত্র সিগারেট বা গুটকা কিনতে এলে তাকে দেবেন না। উল্লেখ্য, বহু বছর আগে রাজ্য সরকার আইন করে স্কুল চত্বরের ১০০ গজের মধ্যে যেকোনও ধরনের নেশাজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। কিন্তু সেই আইন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হয় না।