স্বামীর মৃত্যুর পর ডাকঘরে জমানো টাকা তুলতে গেলেই হতে হয় হেনস্থা; অভিযোগ স্ত্রীর
দিন মজুরি করে টেনেটুনে কোনও রকমে সংসার চালিয়েও তিল তিল করে মেয়ের বিয়ের জন্য সঞ্চয় করতেন পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা থানার ধোবারু গ্রামের শ্যামল রায়।
দুই মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে ছিল তাঁর সংসার। মেয়ের বিয়ের জন্য টাকা জমাবেন বলে তিনি পানাগড় ডাকঘরে একটি অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন। দু’বছর আগে আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় শ্যামলবাবুর।
শ্যামলবাবুর শ্রাদ্ধকাজ করা, সংসার চালানো এবং এক মেয়ের বিয়ে দিতে ধার করতে হয় শ্যামলবাবুর স্ত্রী ছায়াদেবীকে। ভেবেছিলেন ডাকঘরে স্বামীরে জমানো টাকা তুলে ধার মিটিয়ে দেবেন। কিন্তু দু’বছর ধরে স্বামীর সঞ্চয়ের প্রায় ৯৬ হাজার টাকা কিছুতেই তুলতে পারছেন না।
সংসার চালাতেই নাজেহাল দশা। তার উপর প্রায় ২০ বছর বয়সী ছেলে অসুস্থ। তাঁর চিকিৎসার জন্য ওষুধ কিনতে হয়। ছায়াদেবীর অভিযোগ, ডাকঘরে সব কাগজপত্র জমা পড়েছে। অথচ টাকা চাইতে গেলেই তাঁকে হেনস্থা করা হয়। দুর্ব্যবহার করেন পোস্টমাস্টার। এমনকী তাঁর বিবাহিতা মেয়ে বা তাঁর ভাইও চেষ্টা করে কিছু করতে পারেনননি।