বছরের শুরুতেই ভিড় উপচে পড়ল মাইথন বাঁধের কল্যানেশ্বরী মন্দিরে
পশ্চিম বর্ধমানের কঙ্কালেশ্বরী মন্দিরে কল্যাণেশ্বরী মহাশক্তি পূজা প্রায় ৫০০ বছরের পুরোনো। অতীতে এখানে মানুষবলির কথাও জানতে পারা যায়। তবে বর্তমান মন্দির, খুব বেশি পুরোনো নয়। এটি পঞ্চকোট রাজাদের পৃষ্ঠপোষকতায় তৈরি হয়। কল্যাণেশ্বরী খুবই জাগ্রত দেবী বলে ভক্তদের কাছে পূজিত হন। সন্তানহীন মহিলারা তার কাছে প্রার্থনা করলে তাদের সন্তানেচ্ছা পূরিত হয় বলেই মানুষের বিশ্বাস।
নতুন বছরের প্রথম দিন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা গোটা বছর সকলের ভাল ও সুস্থ কাটুক। সেই লক্ষ্যেই দেবীর কাছে প্রার্থনা করার জন্য শনিবার সকাল থেকে ভিড় উপচে পড়ল মাইথন বাঁধের কল্যানেশ্বরী মন্দিরে। এই মন্দিরে আসা মানে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা। তবে তীব্র দাবদাহের কারণে এই মুহূর্তে মাইথন বাঁধের আশেপাশের প্রকৃতি উপভোগ করার সুযোগ খুবই কম।
পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে শনিবার সকাল থেকে সাধারণ পুণ্যার্থী ও ব্যবসায়ীদের লম্বা লাইন দেখা গেল কল্যাণেশ্বরী মন্দিরে। প্রতি বছরের মত চিরাচরিতভাবে এবারেও আসানসোলের এই অন্যতম পুরনো এই মন্দিরে বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন ভিড় হয়।বছরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তিথিতে কল্যাণেশ্বরী মন্দিরের পুজো দেওয়ার লম্বা লাইন দেখা যায়। তালিকায় যেমন রয়েছে দুর্গা পুজো, কালীপুজো তেমনই থাকে পয়লা বৈশাখ। ইংরেজি নববর্ষেও এই মন্দিরে বহু পুণ্যার্থী ভিড় করেন।
হাজার হাজার পুণ্যার্থীর সকাল থেকেই ভিড় করায় বিশেষ নিরাপত্তার বন্দোবস্ত ছিল কল্যাণেশ্বরী মন্দিরে। সেই সঙ্গে তীব্র গরমে যাতে আগত দর্শনার্থীরা অসুস্থ না হয়ে পড়েন তার জন্য বিশেষ বন্দোবস্ত রাখা ছিল।