হঠাৎ করেই আগুন ফাঁড়িতে, এলাকায় চাঞ্চল্য
ঘড়িতে ভোর ৪.৪৫। পুলিশ ফাঁড়ির দরজায় পাহারায় ছিলেন এক পুলিশকর্মী। আচমকা বিকট শব্দ শুনতে পান তিনি। দেখেন ফাঁড়ির ভিতর থেকে কালো ধোঁয়া বেরোচ্ছে। কালক্রমে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ফাঁড়িতে থাকা বেশির ভাগ নথি, আসবাবপত্র। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফাঁড়ির ভবনটিও। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় দমকলের। অন্যদিকে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় মানুষজনের সঙ্গে পুলিশ কর্মীরা আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। কিন্তু ব্যর্থ হন তাঁরা।
খবর পেয়ে দ্রুততার সঙ্গে আসে দমকল। তবে ঘন্টাখানেকের চেষ্টার পর সেই আগুন কাবু করা সম্ভব হয়েছে। আর ততক্ষণে পুড়ে খাঁক হয়ে গিয়েছে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত দুর্গাপুরের এ জোন পুলিশ ফাঁড়ি। পুড়ে গিয়েছে থানায় থাকা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নথি, কাগজপত্র। পুড়ে ছাই হয়েছে টাকা পয়সা। যদিও সৌভাগ্যক্রমে থানার লক আপে সে সময় কেউ ছিলেন না।
জানা গিয়েছে, সম্ভবত কোন ধরনের শর্ট-সার্কিট থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। যেহেতু শিল্পাঞ্চল জুড়ে তীব্র গরম রয়েছে, সেই গরম আবহাওয়ায় জেরে সিসিটিভির সংক্রান্ত কোনও মেশিন থেকে শট সার্কিট হয়ে এমন ঘটনা হয়েছে। এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে পুরোপুরি পুড়ে গিয়েছে এ জোন পুলিশ ফাঁড়ি। তাছাড়াও থানায় থাকা বিভিন্ন কাগজপত্র, ফাইলগুলি পুড়ে ছাই হয়েছে। থানার মত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান থাকা কাগজপত্র পুড়ে যাওয়ার ফলে বেশ কিছুটা সমস্যায় পড়তে হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, কোনও মামলার নথি হয়তো নষ্ট হয়নি।কারণ, পুলিশের দাবি, মামলা বা এফআইআর-এর কাগজ ফাঁড়িতে রাখা হয় না। কেস ডায়েরি থাকে তদন্তকারী অফিসারের তত্ত্বাবধানে। তা ছাড়া, আদালত ও পুলিশের সিআই কার্যালয়েও সে সব নথি রাখা থাকে। ফলে, ভুলবশত ফাঁড়িতে রাখা কোনও নথি যদি নষ্ট হয়েও যায়, তবে তার ‘কপি’ পাওয়া যাবে।