বর্ধমান

দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে জলকষ্টে ভুগছেন অণ্ডালের মানুষ, মেলেনি কোনো ফলাফল

দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে জলকষ্টে ভুগছেন অণ্ডালের মানুষ, মেলেনি কোনো ফলাফল

পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই একের পর এক এলাকা থেকে অভিযোগ আসতে শুরু করেছে। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক অভিযোগ জমা পড়েছে ঠিকমতো জল না পাওয়ার।

বাম আমলে একাধিক বার করা হয়েছে আবেদন। গ্রামবাসীদের ক্ষোভের আগুনে পুড়েছে বামেদের দলীয় কার্যালয়। তারপর পালা বদল। ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। আবারও জানানো হয়েছে আবেদন। কিন্তু ফলাফল শূন্য। দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে জলকষ্টে ভুগছেন অন্ডালের খাঁদরা পঞ্চায়েতের সীদুলি পাড়ার মানুষ।

প্রায় অর্ধ শতক ধরে ওই জায়গায় নেই পানীয় জলের ব্যবস্থা। আর সেই পানীয় জলের সংস্থান করতে গিয়ে ঝরে গেল একটি তরতাজা প্রাণ। বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল ২৮ বছরের এক মহিলার। জানা গিয়েছে, তীব্র এই গরমে জলের সমস্যা মেটাতে এলাকার মানুষজন আফা পাম্পের সাহায্যে জল তোলার ব্যবস্থা করেছিলেন। বিপদ আছে জেনেও জলকষ্ট মেটাতে এই ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেই আফা পাম্প থেকে জল আনতে গিয়েছিলেন ২৮ বছরের অপর্ণা বাউরী। জল আনতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হন তিনি। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।

আর এই ঘটনার পরে ব্যাপক ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার মানুষ। তাঁদের দাবি, বারবার আবেদন করা হয়েছে। অনেক জায়গায় জল পৌঁছেছে। কিন্তু যদি সীদুলি পাড়ায় যদি জল আসত, তাহলে অকালে একটি প্রাণ চলে যেত না। উল্লেখ্য, অন্ডালের খাদরা পঞ্চায়েতের সীদুলি পাড়ায় জলকষ্ট বহুদিনের। আশপাশের বিভিন্ন জায়গায় জল পৌঁছেছে। পৌঁছেছে জলের কল। কিন্তু এই জায়গা এখনও বঞ্চিত রয়ে গিয়েছে।

জল নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে একাধিকবার এলাকার মানুষের বিবাদ সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী বারবার আবেদন জানিয়েছেন জল সংকট মেটানোর জন্য। কিন্তু কেউ কর্ণপাত করেনি বলেই অভিযোগ। জল কষ্ট মেটাতে বিপদ আছে জেনেও আফা পাম্প দিয়ে জল তোলার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখান থেকেই জল সংগ্রহ করছিলেন সীদুলি পাড়ার মহিলারা। সেই জল সংগ্রহ করতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হন অপর্ণা বাউরী। জল আনতে গিয়ে অকালে প্রাণ হারিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন ::

Back to top button