Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
বর্ধমান

”তীব্র গরমের প্রভাব পড়লো মেলায়, ক্ষতির মুখে শিল্পীরা

''তীব্র গরমের প্রভাব পড়লো মেলায়, ক্ষতির মুখে শিল্পীরা

ডোকরা হল “হারানো মোম ঢালাই” পদ্ধতিতে তৈরি একটি শিল্প কর্ম। এই শিল্পের ইতিহাস প্রায় ৪০০০ হাজার বছরের পূরানো। সিন্ধু সভ্যতার শহর মহেঞ্জদোড়োতে প্রাপ্ত “ড্যান্সিং গার্ল” বা “নৃত্যরত নারী মূর্তি” হল ডোকরা শিল্পের নিদর্শন। ভারত ছাড়াও চীন,মালয়েশিয়া,জাপান প্রভৃতি দেশে এই শিল্প কর্ম পাওয়া যায়।

বেলা বাড়লেই রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। খুব প্রয়োজন না হলে কেউ বাইরে পা রাখছেন না। তাপপ্রবাহের অভিঘাতে টান পড়েছে আউশগ্রামের দ্বারিয়াপুরে ডোকরা মেলায় হস্তশিল্পের পসরা নিয়ে বসা শিল্পীদের।

তাঁদের দাবি, মেলায় লোকজন তেমন আসেননি। বিক্রিও আশানুরূপ হয়নি।রাজ্য সরকারের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প, বস্ত্র দফতর এবং ইউনেস্কোর তত্ত্বাবধানে শনিবার মেলা শুরু হয়। মেলায় লোক টানতে বাউল গান, রায়বেঁশে, ঝুমুর-ছৌ নাচের আয়োজন করা হয়েছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডোকরা পাড়ায় সারা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা লেগে থাকে।

শিল্পীদের বাড়িতে সাজানো থাকে সামগ্রী। মেলা উপলক্ষে বাড়তি বিক্রির আশায় পাড়ার সমস্ত শিল্পীরা এক জায়গায় তাঁদের তৈরি শিল্পসামগ্রী নিয়ে বসেন। তাঁদের মধ্যে মিনতি কর্মকার, চম্পা কর্মকার, লক্ষ্মী কর্মকারেরা বলেন, ‘গরমের মধ্যে টেবিলে ডোকরার সামগ্রী সাজিয়ে বসে আছি। রোদ আর গরমে লোকজন তেমন আসছেন না।

ক্রেতা না এলে বিক্রি হবে কী ভাবে?’ এ দিন মেলায় গিয়ে দেখা যায়, কয়েক জন ক্রেতা কলকাতা এবং স্থানীয় এলাকা থেকে এসেছেন। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু পড়ুয়া এ দিন তাঁদের প্রোজেক্টের কাজের জন্য ডোকরা পাড়ায় আসেন। দিকনগরের বাসিন্দা লোকেশ দত্ত এবং বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া শ্রাবণী রায়, মুনমুন ঘোষেরা বলেন, ‘প্রচণ্ড গরমে ক্রেতা-বিক্রেতা, সকলেরই কষ্ট হচ্ছে। মেলার আয়োজকদের এই বিষয়টা ভাবা উচিত ছিল।’

ডোকরা শিল্পী শুভ কর্মকার, অশোক কর্মকারেরা বলেন, ‘কোভিডের পর থেকে মেলা বন্ধ ছিল। এ বার মেলা হচ্ছে। আগামী বছর অন্য সময়ে মেলা করার আবেদন জানাব।’ শিল্পীদের দাবি, মেলার দু’দিনে মোট ৭০-৮০ হাজার টাকার জিনিস বিক্রি হয়েছে। জেলা শিল্পকেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার অভিজিত্‍ কর বলেন, ”তীব্র গরমের প্রভাব পড়েছে মেলায়। এই সময়ে ডোকরা শিল্পীদের তৈরি সামগ্রীর বিক্রি সে ভাবে হয় না। এই মেলায় ওঁদের কিছু জিনিসপত্র বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি, ভাল অঙ্কের টাকার বরাত পেয়েছেন তাঁরা।”

আরও পড়ুন ::

Back to top button